বেমক্কা: সিউড়ি প্রশাসনিক ভবন চত্বরে বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলকে ঘিরে ধরে মার।
প্রথমে ঘিরে ধরে শাসানি। দু’চার কথার পরে কেউ কিছু বোঝার আগেই চকিতে পিছন থেকে এসে কোমরের নীচে ধারালো অস্ত্রের খোঁচা!
মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়ে দুষ্কৃতী-হানায় রক্তাক্ত হলেন বীরভূম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল।
সিউড়ি হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। আঘাত গুরুতর নয়।
বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিকল্পনা মতোই ওই হামলা করা হয়েছে, এই দাবি করে সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কালোসোনা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রাণে মেরে ফেলতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী শেখ শেরু হামলা চালায়। বাড়াবাড়ি করলে ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেয়।’’ জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার নীলকান্তম সুধীর কুমার। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।
অস্ত্র হাতে হানা দুষ্কৃতীর (চিহ্নিত)।
সোমবারই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, ‘‘বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে বেরোলেই দেখবেন উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।’’ এ দিনের হামলার পরে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খোঁচা ‘উন্নয়ন’-এরই খোঁচা!
আরও পড়ুন:
বাড়ছে হামলা, পাল্টা মার বিজেপিরও
প্রতিরোধ জোট বেঁধে, সঙ্কেত বিরোধী ঘরে
মনোনয়ন জমা করতে গিয়ে সোমবার জেলার প্রতিটি ব্লকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বিরোধীদের। লাভপুর, রামপুরহাট এবং দুবরাজপুরে মারও খান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ-প্রশাসন থাকতে কেন গণতান্ত্রিক ভাবে ভোট হবে না, তার জবাব চাইতে মঙ্গলবার সিউড়ি এসেছিলেন জেলা বিজেপির নেতারা। সেই দলে ছিলেন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে পুলিশ সুপারের কাছে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন কালোসোনা। রামকৃষ্ণবাবুর কথায়, ‘‘জেলার সবচেয়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত জায়গায় এসে বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে এ ভাবে আক্রান্ত হতে হল। গ্রামেগঞ্জে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।’’
রক্তাক্ত কালোসোনা (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির ক্ষোভ, প্রশাসনিক চত্বরে বহু পুলিশ থাকলেও তারা নীরব দর্শক ছিল। বরং সরব উপস্থিতি ছিল তৃণমূল নেতাকর্মীদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সিউড়ি শহর সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কে পিছন থেকে ওঁকে আঘাত করেছে দেখিনি। তবে আমিই ওঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।’’ আর অনুব্রত বলছেন, ‘‘শুনেছি, ওই নেতা হোঁচট খেয়ে পড়ে আঘাত পেয়েছেন!’’ যা শুনে বিজেপির জেলা সভাপতির মন্তব্য, ‘‘আর কত নির্লজ্জ হবেন উনি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy