একজোট: কোলাঘাটের এক হোটেলে ত্বহা সিদ্দিকি ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের মনোনয়ন না পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই দলে ক্ষোভ জানিয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী কাটোয়ার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বুধবার সেই সিদ্দিকুল্লা বৈঠক করলেন হুগলির ফুরফুরা শরীফের অন্যতম পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে। বৈঠকটি হল কোলাঘাটের একটি হোটেলে। তাঁদের দু’জনেরই দাবি, এই দেখা হওয়া নিছকই কাকতালীয়। দু’জনেই ওদিকে গিয়েছিলেন। পথে দেখা হয়ে গিয়েছে।
ত্বহা আর সিদ্দিকুল্লার পথচলা বেশ কিছুদিন ধরেই আলাদা। এক সময়ের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ফুরফুরার পীরজাদার সঙ্গে ইদানিং শাসকদলের সম্পর্ক শীতল বলেই অনেকে মনে করেন। আর জমিয়তে উলেমা হিন্দের প্রধান সিদ্দিকুল্লা তাঁর সংগঠনের পরিচয় সরিয়ে রেখে তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক-মন্ত্রী হয়েছেন। শাসকদলের একাংশের মতে, বাংলার সংখ্যালঘু সমাজে প্রভাব বিস্তারের জন্য এই দুই নেতার বরাবরের প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রয়োজন ও সময়মতো তাঁদের সহযোগিতা নিয়েছে দল।
মনোনয়ন বিলিকে কেন্দ্র করে সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে দলের দূরত্ব কিঞ্চিৎ বেড়েছে বলে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা চলছে। সিদ্দিকুল্লা সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন। এমন এক পরিস্থিতিতে ত্বহা-সিদ্দিকুল্লা বৈঠক রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও দুই নেতাই এই বৈঠকের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন বিজেপি বিরোধিতার প্রসঙ্গ। তাঁদের দাবি, সাম্প্রদায়িকতার বিপদ থেকে দেশকে বাঁচাতেই এই আলোচনা। ত্বহার কথায়, ‘‘আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাতীয়স্তরে একসঙ্গে কাজ করলে লাভ দেশেরই।’’ আর সিদ্দিকুল্লা বলেছেন, ‘‘বিজেপিকে রুখতে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দুই নেতার বৈঠকের কথা জেনে বলেন, ‘‘ভালই তো। সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যে কোনও লড়াইকে শক্তিশালী করতে সবার এক সঙ্গে আসার প্রয়োজন আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy