জলের দাবিতে বিক্ষোভ গঙ্গাধরপুরে। নিজস্ব চিত্র
গরমের দিনে সাতসকালেই মাথায় হাত। গভীর নলকূপের বিদ্যুতের তার, সুইচ বোর্ড উধাও। চুরি হল নাকি! সপ্তাহের প্রথম দিনে ভি়ড় জমতে শুরু করল খড়্গপুর-১ ব্লকের খেলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাধরপুর গ্রামের কলতলায়।
কোথায় গেল সুইচ বোর্ড? গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়ছিল। তাই গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের বিপাকে ফেলতেই নাকি তার এবং সুইচ বোর্ড খুলে নিয়ে রাখা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শম্ভু হেমব্রমের বাড়িতে।
কিন্তু গভীর নলকূপ বন্ধ হলে তো গ্রামের কেউ জল পাবেন না? বিজেপির দাবি, তৃণমূল সমর্থক পরিবারগুলিকে নিজের ব্যক্তিগত গভীর নলকূপ থেকে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন শম্ভুবাবু। প্রতিবাদে সোমবার সকালেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বালতি, কলসি নিয়ে নলকূপের সামনে বসে পড়েন মহিলারা।
বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ান এলাকার বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত ঘোড়ই। একসময় তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘এই এলাকায় যেহেতু আমাদের শক্তি বেশি তাই বিজেপি সমর্থিত পরিবারকে জব্দ করতে তৃণমূল রাতের অন্ধকারে গভীর নলকূপের পাম্পের সংযোগ কেটে দিয়েছে।’’ শম্ভুবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘হুকিং করে পাম্প চলছিল। এখন সংযোগ কেটে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, বিষয়টি দেখে বৈধ সংযোগ দেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েকমাস ধরেই খড়্গপুর-১ ব্লকের খেলাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি শক্তি বাড়িয়েছে। তার মধ্যে গঙ্গাধরপুর অন্যতম। এই এলাকার ৬০টি পরিবারের প্রায় অর্ধেক এখন বিজেপির সমর্থক। রবিবারও খেলাড়ে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়েছে। তার পরেই এ দিন সকালে এই ঘটনা। জল না পেয়ে বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দা যশোদা সরেন, যমুনা ঘোড়াইরা বলেন, “সকালে জল নিতে এসে দেখি পাম্প চলছে না। সুইচ বোর্ড-সহ পাম্প পঞ্চায়েত সদস্য শম্ভু হেমব্রম বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি কয়েকজনকে ডেকে-ডেকে নিজের বাড়ি থেকে জল দিচ্ছেন। আমাদের জল দিচ্ছেন না।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, “নির্বাচনের আগে বাজার গরম করতে বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ভোট মিটলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy