বিমল গুরুঙ্গ-সহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল সিআইডি। ফাইল চিত্র।
বুধবার দার্জিলিং আদালত থেকে পাহাড়ে হিংসা ছড়ানোর একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে। সঙ্গে আশা গুরুঙ্গ, রোশন গিরি-সহ আরও সাত জনের নাম রয়েছে। কিন্তু বিমল এখন কোথায়? গোয়েন্দাদের এক সূত্রের ধারণা, জোড়থাংয়ের কাছে কিতাম পাখিরালয়ের কাছে আত্মগোপন করে থাকতে পারেন মোর্চা সভাপতি। এলাকাটি নামচি থানার অন্তর্গত। সিকিম পুলিশ সূত্রের খবর, এই এলাকায় একাধিক হোম স্টে, অত্যাধুনিক রিসর্ট রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওই এলাকায় ঢুকে তল্লাশির প্রস্তুতি শুরু করেছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর পেয়েছে সিকিম পুলিশও। সরকারি ভাবে তাদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রাত পর্যন্ত নথি পাঠায়নি। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপি পেতে সময় লেগেছে। তা হাতে আসলে সিকিম পুলিশকে সব জানিয়ে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুরুঙ্গের নামে পরোয়ানা, নয়া মামলায় সাঁড়াশি চাপ
দলের শীর্ষ নেতা ও পুলিশের মধ্যে যে লুকোচুরি চলছে, তা নিয়ে পাহাড়-সমতলে তো বটেই, মোর্চার অন্দরেও কৌতূহল তুঙ্গে। গুরুঙ্গপন্থীরা চাইছেন, যে ভাবেই হোক দিল্লিতে পৌঁছে সেখান থেকে বন্ধ তোলার কথা ঘোষণা করে পাহাড়ে ফের কর্তৃত্ব কায়েম করুন দলনেতা। কিন্তু, যে ভাবে সিকিম থেকে বার হওয়ার পথগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে, তাতে গুরুঙ্গের দিল্লি পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে মত আলোচনাপন্থীদের। তবে যে পাখিরালয়ের কাছে নতুন ডেরা হয়েছে বলে সন্দেহ, তার পাশেই রঙ্গিত নদী। রাতে নদী পেরিয়ে বনপথে ঢুকে চা বাগান দিয়ে গন্তব্যের দিকে যাওয়ার সুযোগ গুরুঙ্গের রয়েছে, মনে করছেন অনেকে। মোর্চা সূত্রেই জানা গিয়েছে, গুরুঙ্গকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই নানা মামলায় জড়ানো হচ্ছে— এই দাবি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
কিন্তু, রাজ্য পুলিশ এখন রাশ শক্ত করতে চাইছে। নবান্ন থেকে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা দার্জিলিঙে পৌঁছে সরেজমিনে তদারকি শুরু করেন। নামচি কাণ্ডের পরে দ্বিতীয় দফায় তল্লাশিতে গিয়ে যাতে খালি হাতে না ফিরতে হয়, তা নিশ্চিত করতে নবান্নের ওই কর্তার আচমকা সফর। এর পাল্টা গুরুঙ্গ কী ছক কষছেন, তা নিয়েই কৌতূহল তুঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy