উৎসব: ত্রিপুরায় জয়ের খবরে বিজয় মিছিল কোচবিহারে। শনিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
এ বার কি তা হলে বাংলা? শনিবার আগরতলায় গেরুয়া ঝড় দেখে এই চর্চায় মুখর রাজনৈতিক মহল। বাম হোক বা ডান, গেরুয়া হোক বা নীল-সাদা সব শিবিরেই একটাই আলোচনা, ত্রিপুরার ফল কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলায়।
গুঞ্জনের আগুনে ঘি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। অমিতের হুঙ্কার, ‘‘এই জয়ই শেষ নয়। যত ক্ষণ না বাংলা, ওড়িশা, কেরল জিতছি, তত ক্ষণ দলের স্বর্ণযুগ আসা বাকি।’’ যা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রত্যাঘাত, ‘‘পিপীলিকার পাখা হয়েছে মরবার জন্য। ওরে আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাবিস বাংলা।’’
বাংলায় বিজেপির অন্দরে অনেকেই মনে করছেন, উত্তরপ্রদেশে স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, অনুপ্রিয়া পটেল, হরিয়ানায় চৌধুরি বীরেন্দ্র সিং, ক্যাপ্টেন অভিমন্যু, অসমে হিমন্তবিশ্ব শর্মা, ত্রিপুরায় সুদীপ রায় বর্মনের মতো বহিরাগতরাই পদ্মের জয়ের অন্যতম ভাগীদার। তা হলে এ রাজ্যেও কি মুকুল রায়দের উপরই ভরসা রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? বঙ্গেও কি তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিএম থেকে নেতা ভাঙানোর কাজে নামবে বিজেপি। ‘যাঁরা’ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে আছেন, তাঁরাও এখন দল পাল্টাতে ভরসা পাবেন বলেই বিজেপির একাংশ মত। আবার নতুন করে সারদা-নারদার ঝাঁপি খুলতে পারে বলেও আজ থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর কথাতেও তার ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি দিল্লিতে বলেন, ‘‘চার দিকে চিৎকার হয়, ‘ভেনডেটা-ভেনডেটা’। ‘ভেনডেটা’ নয় ‘ম্যানডেটা’। এটাই আমাদের জনমত। গড়বড় দেখলে ব্যবস্থা নিতেই এই ম্যানডেট দিয়েছে জনগণ।’’ কাকতালীয় হলেও নিজাম প্যালেসে ক’দিন আগেই এসে গিয়েছেন সিবিআইয়ের নতুন যুগ্ম-অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। শুরু হয়েছে ‘বকেয়া মামলার’ তদন্ত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটিও।’’
আরও পড়ুন: তৃণেই বিলীন তৃণমূলের ২৪
ফলে চিন্তায় তৃণমূল। এক নেতার কথায়, ‘‘বিরোধী ভোট যত ভাগ হবে ততই মঙ্গল। কিন্তু ত্রিপুরায় কংগ্রেস উধাও, সিপিএম হেরেছে। ফলে এখানে তৃণমূল বিরোধী ভোট আর তিন ভাগ করে রাখা মুশকিল। বেশির ভাগটাই বিজেপির দিকে যাবে। বিজেপি বাড়বে, তাতে চিন্তা আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy