Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পঞ্চায়েতে শোভনকে দায়িত্বে রাখা নিয়ে চর্চা

আজ জেলার দলীয় বিধায়ক ও বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।

শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পঞ্চায়েত নির্বাচন কি দলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই লড়বে তৃণমূল? আজ বৃহস্পতিবার জেলা দলের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

আজ জেলার দলীয় বিধায়ক ও বাছাই করা নেতাদের সঙ্গে এই বৈঠক করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পঞ্চায়েত ভোটের কাজ ইতিমধ্যেই দেখতে শুরু করেছেন দলের রাজ্য সুব্রত বক্সি। শোভন অবশ্য এদিন পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পারিবারিক বিরোধের জেরে শোভনকে নিয়ে চূড়ান্ত বিড়ম্বনা এখন তৃণমূলে। যেভাবে উভয়পক্ষে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে তাতে শোভনের ভাবমূর্তি নিশ্চিতভাবে ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন দলের একাংশ। তাই তাঁকে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াই নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্ব থেকে শুরু করে বোর্ড গঠন পর্যন্ত দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় শোভন কি যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন- দলে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।

দলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি সব জেলার নেতাদের সঙ্গেই বৈঠক করছেন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতি নিশ্চিতভাবে ভিন্ন। তা দলের মাথায় রয়েছে।’’

আরও পড়ুন: ‘অত্যন্ত লোভী রত্নাদি’, মুখ খুলেই বিস্ফোরক বৈশাখী

রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে যে দু’টি জেলা পরিষদ তৃণমূল জিতেছিল তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তাই তা দলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জেলার চারটি লোকসভা আসনের একটির সাংসদ যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতাদের ধারণা, অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্রের সাংগঠনিক প্রস্তুতির জন্য সাংসদের নিজস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি তিনটি আসনের বেশিরভাগ গ্রামীণ অঞ্চলের প্রস্তুতিতে দলের ভুমিকা বিবেচনা করেই রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE