Advertisement
E-Paper

বর্ন ট্যালেন্ট নই, আমি পরিশ্রমী

অভিনয়ের সুবাদে জনপ্রিয়তা পেলেও ‘সাধারণ’ থাকতে চান অনির্বাণ ভট্টাচার্যটিভিতে ‘ভূমিকন্যা’, ওয়েব সিরিজে ‘ব্যোমকেশ’ও করছেন। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ব্যস্ত তিনি। তবে সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে আনন্দ প্লাসের প্রতিনিধির সঙ্গে আড্ডা দিলেন ব্রহ্মপুরে নিজের নবনির্মিত ফ্ল্যাটে। ঘটনাচক্রে সে দিনই ছিল ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনও।

স্বর্ণাভ দেব

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ০০:১০
অনির্বাণ ভট্টাচার্য

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমালোচক থেকে আমজনতা। সামনেই মুক্তি পাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘জোজো’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’। রয়েছে ‘বালিঘর’, ‘ফাইনালি ভালবাসা’র কাজও। টিভিতে ‘ভূমিকন্যা’, ওয়েব সিরিজে ‘ব্যোমকেশ’ও করছেন। বোঝাই যাচ্ছে, কতটা ব্যস্ত তিনি। তবে সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে আনন্দ প্লাসের প্রতিনিধির সঙ্গে আড্ডা দিলেন ব্রহ্মপুরে নিজের নবনির্মিত ফ্ল্যাটে। ঘটনাচক্রে সে দিনই ছিল ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশনও।

প্র: ১৪ বছর কলকাতার বিভিন্ন আস্তানায় ঘুরে বেড়ানোর পর অবশেষে থাকার জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত করলেন। কতটা তৃপ্ত?

উ: এ ক্ষেত্রে তৃপ্তির চেয়ে শান্তিটাই বেশি। আমি কোনও জিনিস অধিকার করায় বিশ্বাসী নই। কিন্তু এই ফ্ল্যাটই আমার পরিবারের প্রথম স্থায়ী বাসস্থান। মেদিনীপুরেও তো আমরা ভাড়া থাকতাম। সে দিক থেকে মা, বাবা, বোনের মুখের হাসিটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বছরখানেক আগেও ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ্য ছিল না। সিনেমায় কাজ শুরুর কিছু দিন পরে প্রচুর ব্যাঙ্ক ব্যালান্স তৈরি না হলেও একটা ভরসা পেয়েছি। তবে এখনও জানি না, আগামী দিনে প্রতিটা ইএমআই দিতে পারব কি না। আমাদের জীবনটাই তো অনিশ্চিত।

প্র: আপনার মুখে এ কথা শুনে অনেকেই চমকে যাবেন!

উ: লোকজনের তো চমকানোই কাজ! দেখুন, পারফর্মারদের জীবনটাই অনিশ্চয়তায় মোড়া। পাশাপাশি কোনও শিল্পী অনুপ্রেরণা না পেয়েও স্রেফ টাকার জন্য কাজ করতে বাধ্য হলে সেটাও সংকটময়। তবে এ সব নিয়ে বেশি ভাবি না। কলকাতায় আসার পরে তো কখনও থিতু হতে পারিনি।

প্র: আপনার বোহেমিয়ান জীবনটাই কি অভিনয়ের রসদ জোগায়?

উ: অবশ্যই। থিয়েটারের সুবাদে নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াই। বিভিন্ন ধরনের মানুষ দেখি। তাঁদের ইমোশন, কথার ধরন... এ সবই আমার পুঁজি। চলার পথের স্ট্রাগলও বরাবর উপভোগ করেছি। এগুলোই আমাকে অভিনেতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।

প্র: জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পরে কি আর গ্রাসরুট লেভেলের সঙ্গে আগের মতো যোগাযোগ থাকে?

উ: অহঙ্কারী শোনালেও, আমি তারকা হয়ে উঠতে চাই না। এখনও সাধারণ মানুষের ভিড়েই মিশে থাকতে পছন্দ করি। আসলে আমি তো গ্ল্যামারাস নই। ফলে রাস্তার ভিড়ে অনেকেই আমাকে দেখেও ঠিক বিশ্বাস করতে পারে না, এটা অনির্বাণ। ভাঁড়ে চা খাওয়া, রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা, পাবলিক টয়লেটে যাওয়া... এ সবই আমার প্রিয়। সেই জন্যই তো এমন জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছি, যেখানে জানালা দিয়ে পুকুর দেখা যায়। পাশেই আলপথ। চারপাশ গাছগাছালিতে মোড়া।

প্র: গত দু’ বছরে জীবন কতটা বদলেছে?

উ: কিছুই বদলায়নি। শুধু মাত্র একটা মাথা গোঁজার ব্যবস্থা হয়েছে। এর পরে যদি মেদিনীপুরে একটা নিজস্ব আশ্রয় তৈরি করতে পারি, ব্যস আর কিছু চাই না। তবে কাজের দিক থেকে যদি বলেন, তা হলে বলব, সিনেমার জন্য গল্প লিখতে চাই। কিন্তু সেটা হয়ে উঠছে না।

প্র: কেন?

উ: আসলে আমি একেবারেই মাল্টিটাস্কার নই। লিখতে হলে অভিনয়টা বন্ধ রাখতে হবে। হয়তো ২০২০-’২১-এ লিখতে শুরু করব।

আরও পড়ুন: রাজ-শুভশ্রীর গোপন এনগেজমেন্ট, দেখুন ভিডিও

প্র: অরিন্দম শীলের পাশাপাশি এ বার তো আপনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্তর ক্যাম্পেও ঢুকে পড়লেন...

উ: আমি তো সবার সঙ্গেই কাজ করতে চাই। শুরু করেছিলাম অপর্ণা সেনের সঙ্গে। তবে আমাকে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন অরিন্দমদা। সে দিক থেকে উনি আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল একজন। তবে সকলের সঙ্গে কাজ করতে করতেই তো শিখছি। সৃজিতদার ‘উমা’য় আমার চরিত্রটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। ‘এক যে ছিল রাজা’য় চরিত্রটাও অন্য ধরনের। অরিন্দমদার ‘বালিঘর’ নিয়েও বেশ ভয়ে আছি।

প্র: ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি খুব ভয় পেয়েছিলেন?

উ: হ্যাঁ। এত বড় বড় অভিনেতা ব্যোমকেশের ভূমিকায় কাজ করেছেন! তবে পেশাদার অভিনেতা হিসেবে তো ‘না’ করে দিতে পারি না। সে জন্য আমি ভাল করে ব্যোমকেশ পড়েছি। সঙ্গে নিজের আইডিয়া দিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করা যেতে পারে, সেই চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজের শুরুতে আমি একটু নার্ভাস থাকি। কয়েক দিন শুটিংয়ের পরে ধাতস্থ হই। আসলে বর্ন ট্যালেন্ট নই, আমি পরিশ্রমী।

প্র: এ বার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। কবে বিয়ে করছেন?

উ: এই রে! দেখুন, ৩২ বছর হয়ে গেল, হাতে আর সময় নেই। হয়তো দেড় বছরের মধ্যেই বিয়েটা করে ফেলব। তবে পাত্রী ঠিক হয়নি। দেখাশোনা চলছে (মুচকি হাসি)।

Anirban Bhattacharya Tollywood Actor অনির্বাণ ভট্টাচার্য
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy