ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
প্রেম করেন না। বিয়ের পরিকল্পনা নেই। কারও সঙ্গে ঝগড়াও নেই। তনুশ্রী চক্রবর্তী এতটাই পলিটিক্যালি কারেক্ট যে, তাঁর মুখ দিয়ে কোনও বেফাঁস কথা বের করাই মুশকিল।
অথচ ইন্ডাস্ট্রির সকলেই জানেন, তনুশ্রী দিব্যি প্রেম করছেন। গ্রীষ্মের দুপুরে আনন্দ প্লাসের ফোটোশ্যুটের জন্য নইলে কি কেউ লাল রং বাছেন! প্রশ্ন করতেই বললেন, ‘‘কাজের বাইরে আর কিচ্ছু ভাবছি না এখন।’’
ইন্ডাস্ট্রির সব নামী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন তিনি। বাকি ছিল অরিন্দম শীলের সঙ্গে কাজ করা। সেটাও হয়ে গেল। ‘দুর্গা সহায়’ দিয়েই কেরিয়ারের সবচেয়ে বলিষ্ঠ চরিত্রটা পেয়েছেন তনুশ্রী। নিজেও স্বীকার করলেন, ‘‘ভাল চরিত্র আগেও করেছি। কিন্তু ‘দুর্গা সহায়’ মহিলাপ্রধান ছবি। যেটা টলিউডে খুব বেশি হয় না। সেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র পেয়ে ভাল লাগছে।’’ পরিচালক কি বিশেষ কোনও ব্রিফ দিয়েছিলেন অভিনয়ের আগে? ‘‘যে-চরিত্র কেউ আগে কোনও দিনও করেনি, অরিন্দমদা তাকে সেই রকম কিছুই দেন। আমাকে দিলেন আমার ব্যক্তিত্বের একেবারে বিপরীত চরিত্র,’’ বললেন তনুশ্রী। নিজেই উদাহরণ দিলেন ‘ঈগলের চোখ’-এ পায়েলের চরিত্রটার। ‘‘কেউ ভাবতেও পারেনি অরিন্দমদা ভিলেনের চরিত্রে পায়েলকে কাস্ট করতে পারেন। এই ব্যাপারটাই আমার ভাল লাগে,’’ বক্তব্য ছবির মানসীর।
ছবিতে তাঁর উলটো দিকে সোহিনী সরকার। যিনি অরিন্দমের পছন্দের এবং ভাল অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত। অন-স্ক্রিন টক্কর ছিল? ‘‘আমরা সহ-অভিনেত্রী। টক্কর থাকবে কেন! ভাল কারও সঙ্গে কাজ করলে আমারই সুবিধে,’’ নিরামিষ জবাব দিলেন।
তনুশ্রী সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত তাঁর পিআর স্কিলের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিতে কারও সঙ্গে তাঁর ঝামেলা নেই। ‘‘আরে শুধু শুধু ঝামেলা করতে যাবই বা কেন! আর পিআর করে কিন্তু কিছু হয় না। যদি অভিনয়টা না পারতাম, তা হলে কেউ আর কাজ দিত না,’’ বলছেন তিনি।
কিন্তু অভিনয়-জীবন নিয়ে কি তিনি সিকিওর্ড নন? দু’টো রেস্তোরাঁ খুলেছেন। নেহাতই শখ না কি দ্বিতীয় কেরিয়ার অপশন? ইনসিকিওরিটির কথা উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘রেস্তোরাঁ আমার প্যাশন। যদি অভিনয় নাও করতাম তা হলেও রেস্তোরাঁ খুলতাম।’’ টলিউ়়ডের অন্দরের খবর, কলকাতার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। যদিও তনুশ্রী সে সব উড়িয়ে দিয়ে জোর গলায় জানালেন তিনি সিঙ্গল। ‘‘দেখুন, আমি এর আগে সম্পর্কে জড়িয়েছি। কিন্তু সমস্যা হল, আমি ভীষণ কমিটমেন্ট ফোবিক। কোনও সম্পর্কে যেতে ভয় পাই। মনে হয়, প্রেম করতে গিয়ে যদি কাজকে অবহেলা করি।’’
প্রেম আর কাজের কোনও বিরোধ আছে নাকি? ‘‘না, নেই। অনেকেই দুটো দিক দিব্যি ব্যালান্স করে চলতে পারেন। আমিই শুধু মনে হয় পারব না,’’ বলছেন তনুশ্রী। কিছু দিন আগে বোনের বিয়ে দিয়েছেন। বাড়ি থেকে আপনার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে না? হেসে বলেন, ‘‘মা একেবারে পাগল করে দিচ্ছে!’’
কেরিয়ার ফেলে এখনই বিয়ের কথা ভাববেন না পণ করেছেন। ‘‘বয়স তো কম হল না! এখনও কত কিছু করা বাকি। আরও অনেক ভাল ছবি করতে চাই। তার পর বিয়ের কথা ভাবা যাবে,’’ প্রশ্ন শুনে সাফ জবাব তনুশ্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy