প্রিয় কে-ড্রামার মতো ঘর সাজাবেন কী করে
চিনা-ইরানি-তুর্কি— নানা দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এ শহরে বহু যুগ ধরেই পসার জমিয়েছে। তবে ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে বিশ্বায়নের পর থেকে। দেশ-বিদেশের নানা ছোট-বড় সংস্থার বিপণি এখন শহরের নানা জায়গায় চোখে পড়বে। ইদানীং এই শহরের বিভিন্ন শপিং মলে জনপ্রিয় চিনা-জাপানি-কোরিয়ার জিনিসের কিছু দোকান জায়গা করে নিয়েছে। রকমারি বালিশ থেকে শুরু করে অন্দরসজ্জার টুকিটাকি, আবার ত্বক পরিচর্যার জিনিসপত্র থেকে শুরু করে খাতা কলম-সবই এখানে মিলবে অল্প ব্যয়ে।
কোথায়
কলকাতার প্রায় প্রত্যেকটি শপিং মলেই এই এশিয়ান জিনিপত্রের দোকান আপনি এখন দেখতে পাবেন। এ ছাড়াও ভবানীপুরে, সল্টলেক এবং নিউ টাউনে, হাওড়ায়, পার্ক স্ট্রিটে এ ধরনের নানা দোকান আপনি দেখতে পাবেন। এই বিপণিগুলির বহিরাঙ্গিক সজ্জাই এত মনোগ্রাহী যে দূর থেকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
কলকাতার প্রায় প্রত্যেকটি শপিং মলেই এই এশিয়ান জিনিপত্রের দোকান আপনি এখন দেখতে পাবেন
অন্দরসজ্জার কী কী পাবেন এখানে
এই দোকানগুলিতে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন আকারের রং-বেরঙের কুশন। এখানে মিলবে সুন্দর বাটি, চামচ, থালা, চায়ের কাপ, কৌটো, হাতা, খুন্তি এমনকি, রান্নার পাত্রও। জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যানিমেটে়ড চরিত্রের আদলে পুতুল এখানে ছোটদের মন ভুলিয়ে দেবেই। এ ছাড়া পেন্সিলের বাক্স, কলম, ছাতা, দেওয়ালে টাঙ্গানোর নান্দনিক ছবি, হ্যাঙ্গার ইত্যাদি এই ধরনের দোকানে যা যা পাওয়া সে সবই কিন্তু বেশ সুদৃশ্য। এ সব জিনিস ছাড়াও নিজের বাড়ির জন্য আপনি এখান থেকে কিনতে পারেন মেঝেতে পাতার বাহারি মাদুর, জলের বোতল, জামাকাপড় রাখার ভাঁজ করা ব্যাগ আরও অনেক কিছু।
কেমন
গুণমানের দিক থেকে এই দোকানগুলির জিনিস কেমন, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত পাওয়া যায়। কিন্তু অন্দরসাজের জিনিস ইদানীং অনেক কলকাতাবাসী বিশেষ করে এই দোকানগুলি থেকেই সংগ্রহ করছেন। কারণ দেখতে যেমন মিষ্টি, দামও তেমন বেশি নয়। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বয়স্ক মানুষজনও ঘরের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনতে হানা দিচ্ছেন এই বিপণিগুলিতে। এশিয়ার অন্যান্য দেশে প্রথম শুরু হওয়া দোকানের অনেক শাখা কলকাতাতেও তাই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।