San Diego

সান দিয়েগোর পুজো এ বার ইউটিউবে

সান দিয়াগো ‘সৈকত’-এর পুজো এবার ১৮তম বছরে পা দিল।

Advertisement

সুমনা চক্রবর্তী

সান দিয়েগো শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৫:০৪
Share:

পুজো অনলাইনে হলেও অঞ্জলি প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া— কোনও কিছুতেই ঘাটতি পড়ছে না।

বিশৃঙ্খল, এলোমেলো জীবনযাত্রাকে তাঁর জাদু হাতের ছোঁয়ায় গুছিয়ে দিতে মনে হয় একমাত্র মা দুর্গাই পারেন। তাই মা ডিজিটাল পুজোয় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তবে তাঁরও চিন্তা একটু হচ্ছে না, তা বলা যায় না। কারণ অতিমারি। যার ভাইরাস আবার মানুষে মানুষে ছড়ায়। তিনি এলে মানুষজন ভাইরাসের তোয়াক্কা না করে ঝাঁপিয়ে পড়বে, গায়ে গা লাগিয়ে ছবি তুলবে, মাস্ক সরিয়ে দিয়ে বন্ধুর সঙ্গে নিজস্বী তুলবে, উদ্বেগ সেই কারণেই। বাক্সপেটরা গোছাতে গিয়ে মা খানিক দোনামনা। তিনি ধরায় আসেন মানুষের মঙ্গল কামনায়। সেই মঙ্গল অমঙ্গলে পরিণত হোক, এমন কখনওই তাঁর কাম্য নয়। তাই ডিজিটাল পুজোকেই বেছে নিয়েছেন এ বার।

Advertisement

সান দিয়াগো ‘সৈকত’-এর পুজো এবার ১৮তম বছরে পা দিল। স্কুলবাড়িতে চিরাচরিত ধুমধামের পুজো থেকে সরে গিয়ে থেকে মনে হয় সামান্থা অ্যাভিনিউয়ের এক বাড়ির উঠোনেই পুজো সেরে নেওয়া হবে। সারা বছর গ্যারাজে বাক্সবন্দি থাকার পর ক’দিন কাশের হাওয়ায় আঁচল দোলানো মনে হয় এবারে হচ্ছে না মায়ের। তবে জল্পনা চলছে যাতে, ‘ইন পার্সন’ পুজোটা করা যায়। সান দিয়াগোবাসী অবশ্য মুখ উঁচিয়ে রয়েছেন সিডিসি-র গাইড লাইন ও স্থানীয় স্কুলের উপর নির্ভর করে। ওঁরা মাথা নাড়িয়ে সায় দিলেই স্কুলবাড়িতে ঢাকের আওয়াজে গমগম করবে। তবে পুজো যেরকম ভাবেই হোক, মূর্তি বা ছবি, ছোট আকারে বা বড় আকারে, সেটা বড় কথা নয়। পুজো করাটাই এখন অগ্রাধিকার।

পুজো অনলাইনে হলেও অঞ্জলি প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া— কোনও কিছুতেই ঘাটতি পড়ছে না। ইউটিউব স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সারা দিনের পুজো পৌঁছে যাবে সান দিয়াগোবাসীর ঘরে ঘরে, সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। খাওয়ার কুপনও দেওয়া হবে, যাতে সদস্যরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। অতিমারির কারণে পুজো মূলত কমিটি সদস্যদের তত্ত্বাবধানেই একটু ব্যক্তিগত পরিসরে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই হবে এই পুজো।

Advertisement

হই হই করে ভাদ্রের চাদর গুটিয়ে আশ্বিন চলে এসেছে। অ্যামাজন-এর মাধ্যমে বীজ এনে পোঁতা শিউলির চারা গাছটিতেও একটি-দু’টি করে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। প্রবাসী বাঙালিরাও গন্ধ ও রঙের মাধ্যমে মায়ের ডাক শুনতে পান। তাই তো শরৎ এলেই খুঁজে বেড়ান সাদা কাশফুল, শিউলি আর নীল আকাশে ছেড়া মেঘ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন