সংগৃহীত চিত্র।
সালটা ১৯৮২, সুদূর ফ্লোরিডায় গড়ে উঠল বেঙ্গলি সোসাইটি অফ ফ্লোরিডা। কাজ বা পড়াশোনার সূত্রে যাঁরা দূর প্রবাসে পড়ে থাকেন, পুজোর দিনগুলিতে চাইলেও বাড়ি ফিরতে পারেন না, তাঁদের এক ছাতার তলায় নিয়ে এল এই সংগঠন। শুরু হয় দুর্গাপুজো। তবে এই ৪৩তম বছরে এসে তাঁদের চমক ছিল নতুন প্রতিমা।
সকলেই জানেন বিদেশে দশমীর দিন দেবী প্রতিমার বিসর্জন ঘটে না ফি বছর। বরং একাধিক বার একই প্রতিমায় পুজো হয়। তবে ফ্লোরিডায় এ বার নতুন প্রতিমায় দেবীর আরাধনা হয়েছে। তিন দিন ধরে মহাসমারোহে ঢাক, শঙ্খের ধ্বনির মধ্যে মেতে ছিল প্রবাসের এই পুজোটি।
সদস্য এবং অতিথিরা মিলে প্রায় ৪০০ জন এবারের এই পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। কী কী হয়নি? নিয়ম রীতি মেনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলেছে পুজো, অঞ্জলি, আরতি, প্রদীপ জ্বালানো, সিঁদুর খেলা, বরণ, সবই। বাংলার রীতির হাত ধরে যে প্রবাসের মাটিতে কদিনের জন্য বাংলা ফিরে এসেছিল।
বেঙ্গলি সোসাইটি অফ ফ্লোরিডার এই দুর্গোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব। স্থানীয়রা বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা করেছেন। সদস্যদের পারফরমেন্স ছাড়াও চমক হিসেবে ছিল কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায় এবং জয়তী চক্রবর্তীর গান।
পুজোর চার দিন এখানে জমজমাট খাবারের আয়োজনও ছিল। মেনুতে ছিল লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম, খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, ইত্যাদি।
৮ থেকে ৮০, সকলে মিলে যে প্রবাসে দুর্গোৎসবের আনন্দে এই তিন দিন, নাচ, গান, আনন্দে মেতে উঠেছিলেন রোজকার জীবনের থেকে এক পলক বিরতি নিয়ে সেটা বলাই যায়।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।