প্রতীকী চিত্র
টুকটুকে গায়ের রং, গজ দাঁতের ফাঁকে মিষ্টি হাসি। এক ডাকেই তাঁকে চিনে ফেলবেন অনুরাগীরা। অভিনেত্রীর পাশাপাশি এখন তিনি প্রযোজকও। এই ভাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে ফেললেন এনা সাহা। জীবন যে একটু হলেও বদলেছে, তা অকপটেই স্বীকার করে নেন নায়িকা। কিন্তু ছোটবেলার পুজোর নির্যাসটা কি এখনও পান?
আনন্দবাজার ডট কমকে এনা বলেন, “ছোটবেলার পুজোটা খুব সাদামাঠা ছিল। আগে ভাবতাম পুজোতে কটা জামা হল, এখন সেটার পরিবর্তে ‘পুজোতে কটা ব্র্যান্ড হল’, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেই যেন জীবন আবদ্ধ। ছেলেবেলার পুজোর কোনও কিছুই আর এখন নেই।”
ছোটবেলার পুজো নিয়ে কথা হচ্ছে, আর পুজোর প্রেমের প্রসঙ্গ উঠবে না, তা কী ভাবে হয়? সেই সময়ে এনার মনের দরজায় পুজোর প্রেম কড়া নেড়েছিল কখনও? যদিও অভিনেত্রীর কথায়, “প্রেমে পড়ার বয়স হতে হতেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। ওটা আর করে ওঠা হয়নি।”
এ বারের পুজোটাও কি ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে নায়িকার? এনা বলেন, “পুজোতেই তো সব চেয়ে বেশি কাজ থাকে আমাদের পেশায়। তাই পুজোতে কাজই করব। তা ছাড়া পুজো পরিক্রমার সঙ্গে সঙ্গে তো ঠাকুর দেখাও হয়ে যায়।”
পুজোর মুখেও ব্যস্ততা থেকে নিস্তার নেই তারকাদের। তাঁর ফাঁকেও কতদূর এগোল এনার পুজোর প্রস্তুতি? তিনি বলেন, “প্রায় শেষ বলা চলে। কারণ এই বছর অনেকটাই এগিয়ে এসেছে দুর্গাপুজো। সেই কারণে আমিও আগে ভাগে শুরু করে দিয়েছি প্রস্তুতি।”
এনা কী চাইবেন এ বছর দেবীর থেকে? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “আমি ছোট থেকেই খুব কৃতজ্ঞ সব কিছুর জন্য। কোনও দিনই ইচ্ছে তালিকা নিয়ে হাজির হইনি দেবীর কাছে। বরং আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, যদি আমি কিছু ভাল করি, ভগবান আমাকে নিজেই সবটা পাইয়ে দেবেন।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।