Durga Puja Nostalgia

এখনও কি পুজো এলে প্রেম পায়? উত্তরে চমকে দিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়

পুজো এলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। বাবা-মা, ঠাকুর দেখা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরা, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে খাবার খাওয়া। এর অনেক কিছুই আজও করে বেড়ান তিনি?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:০৪
Share:

পুজো আর মাত্র কিছুদিন। ক্লাবগুলোতে মণ্ডপ তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আমবাঙালি নিজেকে পুজোর রঙে সাজিয়ে নিতে কোনও রকম খামতি রাখছে না। পিছিয়ে নেই টলি তারকারাও। নিজেদের মত ভাবতে শুরু করেছেন তাঁরাও। পুজোর প্রস্তুতি নিয়েই আনন্দবাজার অনলাইনে মুখোমুখি টলিউডের ‘দুষ্টু-মিষ্টি’ নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বাঙালির সেরা উৎসব নিয়ে মন খুলে কথা বললেন তিনি।

Advertisement

এ বারে শ্রাবন্তীর বাড়িতে হয়েছে সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজো। বলতে গেলে তখন থেকে দুর্গা পুজো আবহাওয়ায় আচ্ছন্ন এই বাড়ি। শ্রাবন্তী বলেন, ‘‘আগের বারের থেকে শুরু করেছি বাড়িতে গণেশ পুজো। এবার প্রতিমা একটু বড়। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে আরকি! এর পর থেকেই বন্ধুরা বাড়িতে এসে দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। কবে ‌কার বাড়ি যাব, কোথায় কোথায় ঘুরব। আকাশে বাতাসে এখন পুজো-পুজো গন্ধ। এই ব্যাপারটা আমার দারুন লাগে। পুজোর পরিকল্পনা পু্রোদমে চলছে।’’

পুজোতে শ্রাবন্তী সাধারণত কলকাতাতেই থাকেন। এই বারের পুজোতে নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে এই নায়িকা বলেন, ‘‘আমি সাধারণত ঘুরতে গেলে কখনও আগে থেকে ভেবে রাখি না। বড়জোর একদিন আগে টিকিট কাটি। এখনও পর্যন্ত পুজোতে কলকাতাতেই থাকার ইচ্ছা রয়েছে। এবার দেখা যাক।’’

Advertisement

নিজের ছেলেবেলার পুজো নিয়ে শ্রাবন্তী বেশ নস্টালজিক। পুজো আসলেই ছেলেবেলার নানা রকম স্মৃতি তাঁর মনে পড়ে যায়। এই বিষয়ে পর্দার ‘দেবী চৌধুরানী’ বলেন, ছেলেবেলার পুজোর কথা হলেই মনে পড়ে, বাবা-মায়ের হাত ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে মণ্ডপে ঢোকা। আমাদের বেহালার অনেক বড় বড় পুজো আছে, সে সব দেখতে ছোটবেলায় ঘুরে বেড়াতাম। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পুজোর সময় রিলিজ করা সিনেমা দেখতেই হবে, এ রকম একটা ব্যাপার ছিল। সন্ধেবেলায় প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো। নানা ধরনের রাস্তার খাবার খাওয়া। এ রকম অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার।’’

এখন তো চেনা মুখ। পর্দার নায়িকা। এই সময় কী এ গুলো করতে পারেন তিনি? শ্রাবন্তী বললে, ‘‘ হ্যাঁ! আমি এ গুলো এখনও মাঝে মধ্যেই করে ফেলি। আমার বেশ ভাল লাগে। কিছুদিন আগেও পাড়ার সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খেয়েছি। পুজোর সময় তো কেউ কিছু বোঝার আগেই গাড়ি থেকে নেমে ঠাকুর দেখে আবার চলে আসি।’’

পুজোর প্রেম নিয়ে চার দিকে আলোচনা হয়। এ নিয়ে শ্রাবন্তীর নিজে কী ভাবেন? তিনি বললেন, ‘‘ আমার কাছে পুজোর প্রেম মানে, হঠাৎ দেখা। পুজোর গন্ধটা অনেকটা প্রেমের মতো। চারিদিক খুব সুন্দর দেখতে লাগে। শরতের আকাশটা দেখতে খুব ভাল লাগে। মহালয়ার সকাল বেলাটা আমার অসাধারণ লাগে।’’

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন