সংগৃহীত চিত্র।
ভৌতিক অভিজ্ঞতা সেই অর্থে কখনও হয়নি। তবে এক বার শ্যুটিং করতে গিয়ে একটু কেমন যেন লেগেছিল। মেদিনীপুরে শ্যুটিং করতে গিয়েছিলাম, ওখানে রাত্রিবেলায় অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়েছিল। কী ঘটেছিল, চলুন সেটাই বিস্তারিত বলা যাক।
সে দিন মারাত্মক বৃষ্টি হয়েছিল। এত জোর বৃষ্টি হচ্ছিল মনে হচ্ছিল যেন গাড়ির ছাদ ভেঙে যাবে। অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। আমরা বেশ কয়েকটা ছোট ছোট জঙ্গল পেরিয়ে আসছিলাম। থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। কোনও মতে হোটেলে ফিরি আমরা। যে পরিমাণ ক্লান্ত ছিলাম, তাতে ঘুমিয়ে পড়া উচিত ছিল আমার। আমি এ সবে (ভূত) বিশ্বাস-টিশ্বাস করি না, দীর্ঘ দিন গ্রামের বাড়িতে থেকেছি, গ্রামে মানুষ হয়েছি। এমনও হয়েছে কখনও কখনও যে, শ্মশানে বন্ধুরা কাউকে দাহ করছে, আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। উঠে দেখি কেউ কোথাও নেই। কেউ পাশে নেই। মানে বুঝতে পারছেন তো গ্রামের শ্মশান যেমন হয়। তাও এখনকার নয়, ৩০ বছর আগের। ফিরে যখন ওদের বলতাম 'কী রে ডাকলি না আমায়?' ওরা বলতো 'তোকে ডাকলাম, কিন্তু তুই গালাগাল দিলি বলে চলে এলাম।' কিন্তু ওই একটা দিন মনে হয়েছিল একটা ভারী বাতাস ঘরটার মধ্যে রয়েছে। মনে হচ্ছিল উঠে এটার মুখোমুখি হই। এটাকে চেজ় করা যায় তো, মানে উঠলাম জল খেলাম, আলো জ্বাললাম, বাথরুমে গেলাম, কাউকে ডাকলাম তেমন কিছু। কিন্তু সে দিন কিছুই পারলাম না।
আমার সঙ্গে যে ভাই ছিল, ব্রিজেশ, ওকে ডাকলাম কিন্তু সে-ও কোনও সাড়া দিল না। আমি খালি চোখ খুলে শুয়ে থাকলাম। কিন্তু নড়তে পারছিলাম না। ওই এক দিনই এমন কিছু আমার সঙ্গে হয়েছিল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।