ছবি: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।
একুশ-বাইশটা ছবি করার পর একটা পুজোয় ছবি রিলিজ করছে আমার। এ বারের পুজো তাই ‘কিশোরকুমার জুনিয়র’। সাফ জানালেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
‘‘পুজো মানেই সেলিব্রেশন। এই সেলিব্রেশনে আবার এই কিশোরকুমার জুনিয়রের মাধ্যমে পুজোর গান ফিরছে। সেই পুরনো সাউন্ডস্কেপে। এটা মানুষের মধ্যে আলোড়ন তৈরি করেছে। আর এটা শুধু কিশোরকুমারকে শ্রদ্ধা জানানো নয়। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এই যে কণ্ঠীদের নিয়ে ভেবেছেন, আজ জাতীয় স্তরে এই ছবিটা এলে হইহই পড়ে যেত।’’ বললেন এ ছবির মুখ্য অভিনেতা প্রসেনজিৎ।
পরিচালক, অভিনেতা আর অভিনেত্রী সকলেই বলছেন, পুজোর আমেজের সঙ্গে মিশে গিয়েছে ছবি।
দেখুন আড্ডার ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: বাবা পুজোতে চোখ মেরে বলে, প্রিন্স চার্মিংকে পেয়েও যেতে পার...
শুধুই কি ছবি? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এ পুজোতে যাতে নজর না লাগে তাই প্রসেনজিতের আঙুল কেটে দিলেন অপরাজিতা! চোখের কাজল নিয়ে প্রসেনজিতের কপালে ছুঁইয়ে দিলেন...এই গভীর মিলমিশেও তো সেই কিশোরকুমার জুনিয়র!
অপরাজিতার নজরবন্দি হলেন না হয় প্রসেনজিৎ! কিন্তু পুজোয় কি তিনি রসনার জগতেও নজরবন্দি?
‘‘নাহ! নাহ! পুজোর সময় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর ভোগ আমি খাবই! আর নবমীতে হাফ প্যান্ট আর টি শার্ট পরে গুছিয়ে কষা মাংস! একটা জায়গা আছে আমার, টিফিন কেরিয়ার চলে যায় সেখানে। নবমীর দুপুরে মাংস মাস্ট,’’ বললেন কিশোরকুমার জুনিয়র।
আরও পড়ুন: নায়িকা হয়ে যাওয়ার ফলে পুজোর প্রেমটা তেমন হয়নি
যোগ করলেন অপরাজিতা, ‘‘গিফট দেওয়ার বিষয় বল? শুধু পুজো নাকি? শুট করতে গিয়ে ইউনিটের সব্বাইকে জিনিস কিনে দেবে!’’
প্রসেনজিৎ থামিয়ে দিতে চাইলেন। উল্টো দিক থেকে কৌশিক বলে ওঠেন, ‘‘ইউনিটের সবাই মানে সব্বাই। একশো জনের ইউনিটের লোক নয়। তার পরিবারের সকলকে। আরে আমি পরিচালক, তিন-চারটে জামা কিনতে গেছি, দোকানদার পাত্তাই দিচ্ছে না! দোকানদারের পরিবারের সবাই স্টার দেখতে চলে এসেছে!’’
কিন্তু খাদ্যরসিক পরিচালকের কাছে রোজ পুজোর ভোজ! তবে অপরাজিতার মহালয়া থেকে নিরামিষ। বাড়িতে নিজেই যজ্ঞ করেন। সন্ধিপুজোর হোম দিয়ে পুজো শেষ করেন।’’ চণ্ডীপাঠের দীক্ষা আছে আমার,’’ বললেন অপরাজিতা।
আরও পড়ুন: রাত জেগে ঠাকুর দেখব, আর ভোগ খাওয়াটা মাস্ট...
নবমী দশমীতে খাওয়া। ‘‘উপহার কেনা আর সকলকে পৌঁছনো একটা বড় কাজ। আমি সবাইকে নিজে হাতে কিনে দিই,’’ আবেগ অপরাজিতার গলায়।
নিজে যজ্ঞ করেন শুনে অপরাজিতার হাত ধরে প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘ঠাকুরের কাছে কিশোরকুমার জুনিয়রের জন্য প্রার্থনা যেন হয়।’’
পরিচালকের দাবি আরও জোরালো! বললেন, ‘‘প্রার্থনা কর, ঠাকুর তুমিও যেন অ্যাডভান্সে গিয়ে টিকিট না পাও। আমরা আলাদা স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেব।’’