সংগৃহিত চিত্র
ছয়টা বাংলা ব্যান্ড একই মঞ্চে পারফর্ম করবে আর ঝড় উঠবে না হয় নাকি? ৩১ অগস্ট শহরে 'ব্যান্ড স্টর্ম' ওঠার আগে আসন্ন অনুষ্ঠান থেকে বাংলা ব্যান্ড নিয়ে কী জানালেন 'ফকিরা' ব্যান্ডের তিমির বিশ্বাস?
'ব্যান্ড স্টর্ম' প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিমির আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, ''ভীষণই উত্তেজিত কারণ আন্তর্জাতিক স্তরে যে বড় বড় ফেস্টগুলি হয় সে রকম ভাবেই আয়োজকরা অনুষ্ঠানটাকে সাজিয়েছেন। ওদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয় কারণ আমরা তো কোনও দিন এমন কিছু করতে পারিনি, বা আমরা কখনও ভাবিনি যে এত বৃহৎ আকারে ব্যান্ড বা স্বাধীন গান-বাজনাকে নিয়ে এ রকম একটা অনুষ্ঠান হতে পারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মানের। আমরা অবশ্যই অনেক বড় বড় কনসার্ট দেখি, কিন্তু এতগুলি বাংলা ব্যান্ডকে নিয়ে এমন বড় মাপে যে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে সেটা খুবই ভাল একটা উদ্যোগ। আমরা প্রত্যেকে খুবই উত্তেজিত। এক ছাতার তলায় বাংলা ব্যান্ডকে তো চট করে দেখা যায় না, সেখানে দাঁড়িয়ে এতগুলি বাংলা ব্যান্ড আর যিনি আমাদের বিরাট বড় অনুপ্রেরণা, সেই অঞ্জন দত্তের মতো একজন এক সঙ্গে এক মঞ্চে আছি, সেটা অবশ্যই একটা দারুণ উদ্যোগ।''
'ফকিরা'র নতুন ভাবে অ্যারেঞ্জ করা কবীরের কয়েকটি দোহা সম্প্রতি দারুণ সাড়া ফেলেছে শ্রোতাদের মধ্যে। সেগুলি কি শোনা যাবে এই অনুষ্ঠানে? এই বিষয়ে তিমির বলেন, ''এই অনুষ্ঠান তো সম্পূর্ণ ভাবে বাংলাকে কেন্দ্র করে করা হচ্ছে, বাংলা ব্যান্ড, বাংলা গানকে উৎসর্গ করে করা হচ্ছে, তাই আমরা 'ব্যান্ড স্টর্ম'-এ দোহা করছি না। একটা রবীন্দ্র সঙ্গীত করব। 'উড়িয়ে ধ্বজা' গানটি আমরা করছি।''
পুজোর প্ল্যান জানতে চাইলে গায়ক জানান এ বার তাঁদের বিদেশে শো নেই। বরং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শো রয়েছে।
কথায় কথায় ওঠে এত দিন পর 'হুলিগানিজ়ম'-এর কথা, যে ব্যান্ডও এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করছে। একটা লম্বা সময়ের পর ফের কোনও ব্যান্ড এতটা জনপ্রিয় হল, মাঝে কোন কারণের জন্য এতটা ফাঁক তৈরি হল যে সময়ে কোনও নতুন বাংলা ব্যান্ডকে সেই অর্থে জনপ্রিয়তা পেতে দেখা গেল না? এই বিষয়ে তিমিরের মত, ''বাংলা ব্যান্ড নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে, কিন্তু হয়তো সেই অর্থে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। এমনকী আমরা যখন শুরু করি তখনও মানুষের কাছে পৌঁছতে আমাদের বেশ অনেকটা সময়ই লেগেছিল, যে আমরা গান করছি। 'হুলিগানিজ়ম'-এ একাধিক বিখ্যাত মানুষ রয়েছেন, তাই তাঁরা ফোকাস পাচ্ছেন। বাবানদা'র মতো গুণী, সিনিয়র মানুষরা আছেন এই ব্যান্ডে, ফলে সেটা নিয়ে তো উন্মাদনা হবেই। তবে এ ছাড়াও প্রচুর কাজকর্ম হচ্ছে। আমি গতকালই একটা ব্যান্ডের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছি যেখানে 'প্রফেসর', 'গোঁসাই গ্যাং', 'ঈশান' পারফর্ম করেছে। ভাল কাজ হচ্ছে, কিন্তু হয়তো সেই অর্থে সামনে আসছে না। কারণ চারপাশটা তো ভীষণই সিনেমার গান কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। সেই প্রভাব রয়েছে, তাই স্বাধীন ভাবে গান-বাজনা করেন যাঁরা তাঁদের একটু লড়াই করতে হয়। লড়াইটা দিন দিন বাড়ছে। তবে আশা করছি, এমন ধরনের কনসার্ট এই বিষয়ে অনেক বেশি সাহস জোগাবে।''
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।