Chhath Puja Timing

তিথি অনুসারে এ বছর ছট পুজো কবে? এ দিন পুজো পান কোন দেব-দেবী?

ছট পুজোয় মূলত সূর্য দেব ও মা ষষ্ঠীর পুজো করা হয়।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

আর দু'টো দিনও পুরোপুরি বাকি নেই। এসে গেল শক্তি ও আস্থার মহা-উৎসব ছট পুজো! নিয়ম অনুসারে - প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে চার দিনের এই উৎসব পালিত হয়। এ বছর - অর্থাৎ - ২০২৫ সালে ছট পুজো শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ অক্টোবর - শনিবার থেকে। এই উৎসবে মূলত সূর্য দেবতা (সূর্য দেব) এবং ষষ্ঠী দেবী (ছঠি মাইয়া)-র আরাধনা করা হয়।

Advertisement

এক নজরে ছট পুজো ২০২৫-এর নির্ঘণ্ট:

প্রথম দিন- নহায়-খায়: আগামী ২৫ অক্টোবর - শনিবার- কার্তিক মাসের শুক্ল চতুর্থীতে পবিত্র স্নান ও সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ পর্ব সারা হবে।

Advertisement

দ্বিতীয় দিন - খরনা: আগামী ২৬ অক্টোবর - রবিবার - কার্তিক মাসের শুক্ল পঞ্চমীতে সারা দিন নির্জলা উপবাস এবং সন্ধ্যায় প্রসাদ গ্রহণ করে ৩৬ ঘণ্টার কঠিন ব্রত শুরু করা হবে।

তৃতীয় দিন - সন্ধ্যা অর্ঘ্য: আগামী ২৭ অক্টোবর - সোমবার - কার্তিক মাসের শুক্ল ষষ্ঠীতে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন (সূর্যাস্ত: প্রায় ৫টা ৪০ মিনিট) করা হবে।

চতুর্থ দিন - ঊষা অর্ঘ্য: আগামী ২৮ অক্টোবর - মঙ্গলবার - কার্তিক মাসের শুক্ল সপ্তমীতে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন ও ব্রত ভঙ্গ (সূর্যোদয়: প্রায় ৬টা ৩০ মিনিট) করা হবে।

চার দিনের এই ব্রতের প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:

১. নহায়-খায় (২৫ অক্টোবর): এই দিনটিকে শুদ্ধিকরণের দিন বলা হয়। ভক্তরা নদী বা পুকুরে স্নান করে পবিত্র হন। এক বেলা সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করা হয়। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই দিনে লাউ-ভাত ও ছোলার ডাল খাওয়া হয়।

২. খরনা (২৬ অক্টোবর): এই দিনটি থেকে কঠিন ব্রত শুরু হয়। ব্রতী বা উপবাসী মহিলারা সারা দিন নির্জলা উপবাস রাখেন। সূর্যাস্তের পর গুড় দিয়ে তৈরি বিশেষ পায়েস বা ক্ষীর, রুটি এবং ফল দিয়ে উপবাস ভঙ্গ করা হয়। এই প্রসাদ গ্রহণের পরই ৩৬ ঘণ্টার কঠোর নির্জলা উপবাস শুরু হয়।

৩. সন্ধ্যা অর্ঘ্য (২৭ অক্টোবর) – মূল ছট পুজো: এটি ছট পুজোর প্রধান দিন। সন্ধ্যাবেলা ভক্তরা নদী বা জলাশয়ের ঘাটে ভিড় করেন। বাঁশের কুলো বা ডালায় ঠেকুয়া, ফল, আখ, নারকেল ইত্যাদি সাজানো হয়। কোমর পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এই দিন সূর্যকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং পরিবারের সুখ-শান্তি কামনা করা হয়।

৪. ঊষা অর্ঘ্য (২৮ অক্টোবর) – ব্রত ভঙ্গ: চার দিনের উৎসবের শেষ দিন এটি। ভোর বেলা আবার ঘাটে গিয়ে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ঘ্য নিবেদনের পরই ব্রত সম্পন্ন হয়। এর পর ব্রতী মহিলারা প্রসাদ গ্রহণ করে ৩৬ ঘণ্টার উপবাস ভঙ্গ করেন।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement