এ বছরের মতো দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গেলেও, মন খারাপ করা চলবে না কিন্তু! কারণ, আসছে বছর আবার হবে! আগামী বছর কবে থেকে শুরু হবে দেবীপক্ষ? অন্যান্য রীতি পালনের দিনক্ষণই বা কী কী থাকবে? রইল তার সবিস্তার তথ্য এবং সূচি।
আগামী বছরের ১০ অক্টোবর আসবে সেই বিশেষ দিন — মহালয়া! পিতৃপক্ষের অবসানে সেই দিন থেকেই দেবীপক্ষের সূচনা। ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে চণ্ডীপাঠের মধ্যে দিয়েই পাওয়া যাবে মা দুর্গার আগমনী বার্তা।
প্রসঙ্গত, মহালয়া থেকে ষষ্ঠী - এই দিনগুলির মধ্যেই প্রতিমার কাজ সম্পূর্ণ করা, মণ্ডপ সজ্জা এবং শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সেরে ফেলা হয়। শহর থেকে গ্রাম — সর্বত্রই পুজোর আমেজ শুরু হয়ে যাবে এই সময় থেকেই।
আগামী বছর দেবী দুর্গার বোধনে শারদোৎসবের সূচনা হবে ১৭ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিনে। ওই দিন কল্পারম্ভের মাধ্যমে দেবীর চক্ষুদান এবং বেলগাছের তলায় দেবীর আবাহন ('আমন্ত্রণ ও অধিবাস')-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আচার পালিত হবে।
পরদিন, অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর সপ্তমী। ওই দিন ভোরে কলাবৌ বা নবপত্রিকাকে স্নান করানোর পরে মণ্ডপে স্থাপন করা হবে। সপ্তমী থেকেই মূলত দেবীর পুজো শুরু। দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়বে মণ্ডপগুলিতে।
দুর্গাপুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হল মহাষ্টমী, যা আগামী বছর ১৯ অক্টোবর পালিত হবে। ওই দিন দেবীর পায়ে অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি বহু মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পুজো, যেখানে কুমারী রূপে দেবীকে আরাধনা করা হয়।
অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, এই ৪৮ মিনিট জুড়ে চলে সন্ধিপুজো। এই সময়ে দেবী দুর্গা চামুণ্ডা রূপে আবির্ভূতা হন। বলিদান (যেখানে প্রচলিত) এবং ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে চলে বিশেষ আরাধনা।
আগামী বছর ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে নবমী। এই দিনে দেবীর কাছে চূড়ান্ত ভোগ নিবেদন এবং নানা ধরনের হোম ও যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা সম্পন্ন হয়। এর পরেই শেষ হয় মূল পূজার আচার। অনেক জায়গায় নবমীতেও কুমারী পুজো করা হয়।
সব শেষে ২১ অক্টোবর পালিত হবে বিজয়া দশমী। ওই দিনে দেবীকে বরণের পরে শুরু হবে সিঁদুর খেলা। মণ্ডপে মণ্ডপে মিষ্টিমুখ করিয়ে বিদায় জানানো হবে উমাকে।
মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী — ২০২৬ সালের দুর্গাপুজোর এই সম্পূর্ণ দিনপঞ্জি এখন আপনার হাতের মুঠোয়। এখন থেকেই শুরু হোক সেই শুভ সময়ের জন্য দিন গোনা। পরের বছর আবার আসছেন দেবী! তার প্রস্তুতি শুরু হোক এখন থেকেই! (বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন পঞ্জিকা ও আঞ্চলিক প্রথার কারণে তিথির সময় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। স্থানীয় পঞ্জিকা মেনে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।) ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।