পুজোর গন্ধ নাকে আসা মানেই ফ্যাশনের দরজায় কড়া নাড়া শুরু। ষষ্ঠী, সপ্তমীর সাজ যেমনই হোক না কেন, আভিজাত্যের ছোঁয়া ছাড়া অষ্টমী-নবমীর সাজ যেন অসম্পূর্ণ। সাবেক সাজের সঙ্গে মানানসই অলঙ্কার। তা একটু বেশি হলে ক্ষতি কী?
টিভির পর্দার আরাত্রিকা মাইতি থেকে শুরু করে অঙ্কিতা মল্লিক, তাঁদের মহালয়ার সাজই হয়ে উঠুক পুজোর পোশাকের অনুপ্রেরণা।
পরনে লাল পাড় শাড়ি, সঙ্গে শোভা বাড়াচ্ছে সোনার গয়নার ঝলমলানি। পিঠে একঢাল খোলা চুল, বড় নথ এবং টানা কাজল-কালো চোখেই অপরূপা হয়ে উঠেছেন পর্দার ‘রাই’ ওরফে আরাত্রিকা। অষ্টমীর অঞ্জলি হোক অথবা দেবীর বরণ, এই সাজের জৌলুসে আপনিই হয়ে উঠবেন নজরকাড়া।
ছিমছাম সাজেও বজায় থাক স্নিগ্ধতা। অঙ্কিতার সাজ বলছে কিছুটা এমনই কথা। লাল স্লিভলেস ব্লাউজ়ের সঙ্গে লাল শিফন শাড়ি। সঙ্গে মানানসই কপালের লাল টিপ।
অলঙ্কার বলতে কানে ছোট সোনার দুল ও টানা হাত খোঁপার ফাঁকে জড়ানো জুঁই ফুলের মালা। অভিনেত্রীর মতোই হাতে গলিয়ে নিতে পারেন লাল কাচের চুড়ি। স্বল্প সাজেই আভিজাত্যের ছোঁয়া।
সাদা শাড়িতে সৃজলা গুহকে এক শব্দে বর্ণনা করতে হয়, তা হবে ‘অপরূপা’। সাদা ব্লাউজ়ের সঙ্গে সাদা সিল্ক, আর কোনও গয়নার প্রয়োজন আছে কি!
অভিনেত্রীর নাকের বড় নথ এবং খোঁপায় গোঁজা দুধে-আলতা পদ্মই নিয়ে আসবে প্রচারের আলোয়।
ফ্যাশনের খাতায় লালের মাহাত্ম্যই আলাদা। অভিনেত্রী পায়েল সরকারকেই দেখুন। গায়ে ভারী কোনও অলঙ্কারের বাহার নেই।
সামান্য একজোড়া সোনার ঝুমকো এবং হাতের লাল চুড়ি। অথচ তাতেই অপরূপা হয়ে উঠেছেন তিনি।
হাতে লাল আলতা দিয়ে নকশা তুলতে পারলেও মন্দ লাগবে না। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )