ট্র্যাডিশনাল সাজে প্রমিতা।
এ বার পুজোয় কলকাতাতেই থাকব। শুটিং বন্ধ থাকবে আমার। আসলে এখনও কোনও বছর পুজোতে বাইরে যাইনি। পুজোতে কলকাতা ছেড়ে চলে গেলে মনে পুজো ছেড়ে চলে গেলাম। পুজোয় বাড়ি থেকে না বেরলোও ওই কটা দিন পরিবেশটাই অন্যরকম থাকে। বাইরে গেলে ওটা ফিল করতে পারব না। বড় একটা জিনিস মিস হয়ে যাবে...।
ছোটবেলায় সকালে, দুপুরে, রাতে আলাদা আলাদা জামা পড়তাম। তিন-চার বার করে চেঞ্জ করতাম। একটা পরে ঘুরে কিছুক্ষণ পর বাড়ি এসে আবার অন্য একটা জামা পরে বেরোতাম। আগে থেকে ঠিক করে রাখতাম কোন দিন কোনটা পরব। এটা হতই আমার ছোটবেলায়। এখন সারা বছর কিছু না কিছু কেনা হয়। তবুও পুজোর শপিং আলাদা। শপিং আমার ছোট থেকেই ভাল লাগে। এখন অনেক জায়গায় যাওয়ার থাকে। শাড়ি একটু কমই পরি। গাউন বেশি পরি। সেটাই কিনেছি। তবে অষ্টমীতে লাল শাড়ি পরব। লাল রং আমার ফেভারিট। অষ্টমীর রাতেও শাড়ি পরব। অষ্টমীতে শাড়ি না পরলে কেমন যেন হালকা হালকা লাগে।
এখন তো প্রফেশনের প্রয়োজনে ডায়েট করি। তবে পুজোতে সেটা বাদ। অষ্টমীতে বাড়িতে মা লুচি করবে। খাবই। মা খুব খুশি, এমনিতে তো লুচি খাই না। নবমীতে খিচুড়ি, ভাজা, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস হবে। সেটাও খাব।
আরও পড়ুন: লিনেন শাড়িতে পুজো কাটাতে চান পল্লবী
আরও পড়ুন: জিনসের সঙ্গে শাড়ি পরবেন না
আগে বাড়ির সামনে বড় করে পুজো হত। বাবা কাকারা ইনভলভ থাকত। এখন পরের জেনারেশন পুজোটা করে। এখন আমাদের পরিবারের ইনভলমেন্ট ওই পুজোতে একটু কমেছে। কিছু জায়গায় গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য যাওয়ার আছে আমার। সেটা খুবই ভাল লাগে। ও সব জায়গায় গাউন পরব ভেবেছি। আসলে যেটা পরলে কমফর্টেবল থাকব, শুধু ড্রেসের ওপর মন দিতে হবে না, সেটাই পরব।