The Raja Ravi Varma Sari

পুজোর বাজারে সর্বোচ্চ দামের শাড়ি! নাম উঠেছে গিনেস বুকেও

তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪,৭৬০ ঘণ্টা। ওজন ৮ কেজি। নবরত্ন ব্যবহার করা হয়েছে এতে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৩
Share:

গিনিসে নাম তুলল এই শাড়িটি

বলা হয়, শাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে নারীর আসল সৌন্দর্য। তা সে সাজগোজের হালখাতায় যতই বদল আসুক না কেন, এখনও শাড়ির দিকেই ঝোঁকেন বাঙালি নারীরা। আলিমারির তাকে সযত্নে সাজানো থাকে বাহারি শাড়ির সম্ভার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শাড়ির দাম। শিল্পীর নৈপুণ্যে সাধারণ শাড়ি হয়ে উঠেছে অসাধারণ। ভারতে তৈরি করা তেমনই একটি শাড়ির দাম উঠেছিল ৫০ লক্ষ টাকা। যে শাড়িটির নাম তোলা রয়েছে গিনেস বুকেও।

Advertisement

কিন্তু কেন সেই শাড়ির পাহাড় প্রমাণ দাম উঠেছিল? জানা গিয়েছে, সেই শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ভারতীয় চিত্রকর রাজা রবি বর্মার ১১টি জনপ্রিয় ছবি। তা ছাড়াও বিভিন্ন দামি পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল শাড়িতে। সঙ্গে শাড়িটি চেন্নাই সিল্কের। যার দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। এর পরে কারিগর, বুননশিল্পী এবং চিত্রশিল্পীদের মজুরি তো রয়েছেই।

১৯০৬ সালে মৃত্যু হয় রাজা রবি বর্মার। দেশের অন্যতম সেরা চিত্রশিল্পীকে কুর্ণিশ জানাতে ২০০৬ সালে এমন শাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেয় তামিলনাড়ুর ভেলোরের জনপ্রিয় একটি সংস্থা। ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে জুড়ে থাকা ১১টি ছবিকে বেছে নেওয়া হয়। যার মধ্যে মূল ছবিটি ছিল আঁচলে, ‘দ্য গ্যালাক্সি অব মিউজ়িশিয়ানস’।

Advertisement

এই শাড়িটির বুননের পরতে পরতে জুড়ে রয়েছে শিল্পকলা। শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪,৭৬০ ঘণ্টা। শাড়িটির ওজন হয়েছিল ৮ কেজি। ভারতে শাড়িটি পাওয়া যায় এমন ৯ ধরনের রত্ন তথা নবরত্ন ব্যবহার করা হয়েছে। শাড়িটিতে রয়েছে ৫৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম সোনা, ১২০ মিলিগ্রাম প্লাটিনাম, ৩ ক্যারেট ৯১৩ সেন্ট হীরা, ১২০ মিলিগ্রাম প্লাটিনাম, ৫ গ্রাম রুপো, ২ ক্যারেট ৯৮৫ সেন্ট রুবি, ৩৫ সেন্ট পান্না, ৩ সেন্ট পোখরাজ, ৫ ক্যারেট নীলা, ১৪ সেন্ট ক্যাটসআই স্টোন, ২ গ্রাম মুক্তা, ৪০০ মিলিগ্রাম প্রবাল এবং ১০ সেন্ট টোপাজ স্টোন।

বিশ্বে এমন শাড়ি মোট দু’টি রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি কিনেছিলেন কাতারের এক ব্যবসায়ী। শাড়িটি তৈরির এক বছরের মধ্যে আরও একটি অর্ডার আসে। দ্বিতীয় শাড়িটি কেনেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যবসায়ী। সেই সময়ে দু’টি শাড়িই বিক্রি হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকায়।

দু’টি শাড়ির নকশাই তৈরি করেছিলেন এস কার্থি। দেশের ৩৬ জন দক্ষ বুননশিল্পী এই শাড়িটি বানিয়েছিলেন। প্রথম শাড়িটি সম্পূর্ণ প্রায় দুই বছর সময় লাগলেও, দ্বিতীয় শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১ বছর ৪ মাস। ২০০৮ সালে বিশ্বের সবথেকে দামি শাড়ি হিসাবে এই শাড়িটির নাম উঠেছিল গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বর্তমানে এই শাড়িটির দাম ১ কোটি টাকা।


এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন