দুর্গাপুজোয় রঙের ঝলকানি, ঠাকুর দেখার দৌড়ঝাঁপ, আর প্রতি দিন আলাদা সাজ—সব মিলিয়ে শহর মেতে ওঠে অন্য ছন্দে। এই কয়েকটা দিন শাড়ির জাদুতে ভিড়ের মধ্যেও নজর কেড়ে নেওয়া যায় অনায়াসে। এই পুজোর জন্য আপনাদের পছন্দ মতো শাড়ি কিনতে ঘুরে আসতে পারেন ‘রেশম শিল্পী’র দোকান থেকে।
অনুপ্রেরণা হতে পারেন অভিনেত্রী জয়া আহসান, যাঁর শাড়ি-পছন্দে রয়েছে আভিজাত্য আর সহজতার মেলবন্ধন।
সপ্তমীর সকালে বেরোতে পারেন এই লেমন গ্রিন কটন হ্যান্ডলুম শাড়ি পরে। এই রঙের হালকা স্নিগ্ধতা ভিড়ভাট্টার মধ্যে যেমন ঠান্ডা অনুভূতি দেবে, তেমনই সকালের ঘোরাঘুরির জন্য একে বারেই মানানসই।
সঙ্গে ছোট্ট দুল, খোলা চুল বা সাদামাঠা খোঁপা—এই সহজ সাজেই পূজার শুরুটা হয়ে উঠবে খাসা।
অষ্টমীর অঞ্জলির সময় চাই কিছুটা আভিজাত্যপূর্ণ উপস্থিতি। সে দিন হতে পারে সবুজ ও সাদার এই মেলবন্ধন, এই অর্ধেক সলিড সিল্ক এবং অর্ধেক তসর শাড়ি পরে তাক লাগাতেই পারেন।
এই সাজ অঞ্জলির ভিড়েও আপনাকে আলাদা করে তুলবে। সঙ্গে গলায় হালকা কোনও হার। এই পরিপাটি লুকেই ধরা দেবে পুজোর আভিজাত্য।
অষ্টমীর রাত কিংবা নবমীর আড্ডায় চাই একটু ঝলমলে রূপ। সেই সময়েই জমবে কালো বালুচরী শাড়ি। সোনালি কাজের ঝলক আলো-আঁধারির খেলায় আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
কালো বা লাল ব্লাউজের সঙ্গে এই সাজ পুজোর রাতের জন্য দারুণ উপযুক্ত।
আর দশমীর আবেগঘন বিদায়বেলায় মানানসই হবে ঘিয়ে সিল্ক ‘স্ক্রিন প্রিন্টেড’ শাড়ি। হালকা রং অথচ নকশায় নান্দনিক এই সাজ দশমীর সিঁদুর খেলার আনন্দে আরও প্রাণ এনে দেবে। হালকা গয়নায়, একে বারে সহজ ভাবে সাজলে দিনের আবেগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে নিখুঁত ভাবে।
জয়ার এই সাজটা পছন্দ হয়েছে তাই তো? পুজোর একটা শাড়ি এমনই হোক চাইছেন? তা হলে কিন্তু আপনার গন্তব্য হতেই পারে ‘রেশম শিল্পী’। এমন হ্যান্ডলুম থেকে কটন হ্যান্ডলুম, সিল্ক সহ নানা ধরনের শাড়ির সম্ভার পেয়ে যাবেন এখানে। পোশাক: রেশম শিল্পী, রূপটান: সুমন গঙ্গোপাধ্যায়, কেশসজ্জা: মৌসুমী, সাজশিল্পী: কিয়ারা, চিত্রগ্রাহক: তথাগত ঘোষ। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)