১। পুজোর দিনে বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা তো চলবেই। তবে এই আগমন বার্তা যদি এক দিন আগে পান, তা হলেও মাছ-মাংস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু নিরামিষ দিনে কী করবেন?
২। ছানা, পনির ও মাশরুমের বাইরে গিয়ে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন ধোঁকার ডালনা। ভাত হোক বা রুটি, জমিয়ে খাওয়ার জন্য আমিষ খাবারের এক বিকল্প পদ হতে পারে এই ধোঁকার ডালনা। কী কী উপকরণ লাগবে? কী ভাবেই বা বানাবেন? রইল প্রণালী।
৩। উপকরণ: ২০০ গ্রাম ছোলা, আদা, কাঁচা লঙ্কা, আধ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, সরষের তেল, ঘি, টমেটো কুঁচি, হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, আধ চা চামচ গরম মশলা, তেজ পাতা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, মৌরি, হিং
৪। এ বার ডালনাটি বানানো যাক। এ ক্ষেত্রে এক দিন আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে ছোলাগুলিকে। সকাল হতেই ভাল করে সেই জল ঝরিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে ছোলাগুলিকে রেখে তাঁর সঙ্গে আদা ও লঙ্কা কুচি মিশিয়ে বেটে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
৫। অন্য দিকে একটি কড়াইতে দিন দুই টেবিল চামচ সরষের তেল। গরম হয়ে আসলে তাতে যোগ করুন জিরে ফোড়ন। তাতে ছোলা বাটার মিশ্রণ, সঙ্গে হলুদ ও সামান্য নুন দিয়ে জল শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
৬। এ বার একটি বড় থালায় সামান্য তেল মাখিয়ে তার উপর মিশ্রণটি রাখুন। সেটিকে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে একটু সমান করেই ছুরি দিয়ে হিরে আকৃতির কেটে নিন। সেগুলি ঠান্ডা হয়ে আসলে কড়াইতে তেল দিয়ে ডুবন্ত তেলে ভেজে নিন।
৭। আবার একটি কড়াইতে সামান্য ঘি দিন। তাতে মিশিয়ে নিন দু’টি তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, মৌরি ও হিং ফোড়ন। গন্ধ ছাড়তে শুরু করলে তাতে আদা দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়তে থাকুন।
৮। এ বার এক এক করে টমেটো, জিরে-হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো ও কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। সামান্য জল দিন। আর টমেটোটি মাখোমাখো না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন স্বাদ মতো নুন।
৯। এ বার তাতে গরম জল মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে মিনিট পাঁচেক মাঝারি আঁচে রান্না করুন। এ বার ঢাকা সরিয়ে তাতে ধোঁকাগুলি এক এক করে দিয়ে ফের ঢাকা দিয়ে মিনিট দশেক অল্প আঁচে রান্না হতে দিন। একদম শেষ মুহুর্তে ঢাকা সরিয়ে গরম মশলা ও চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন।
১০। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )