প্রতীকী চিত্র
সারা বছর যেমন-তেমন, কিন্তু দুর্গাপুজোর ক’দিন ডায়েট-কে বাঙালি 'টাটা বাই বাই' করেই দেয়! ভোজনরসিক বঙ্গসন্তানের কাছে পুজো আর কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া যেন সমার্থক! ঘরে-বাইরে সর্বত্রই চলে জমিয়ে ভুরিভোজ। কী না থাকে তাতে! লুচি-আলুর দম থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছের পদ, বিরিয়ানি-মাংস থেকে চাইনিজ, রোল-চাউমিন, আইসক্রিম-সহ কোনও কিছুই বাদ পড়ে না উৎসবের আমেজে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সকালের জলখাবার থেকে নৈশভোজ, সবেতেই একাধিক বাহারি পদ থাকবেই।
অনেকের বাড়িতে যদিও ষষ্ঠী এবং অষ্টমীর দিনে নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই দুই দিন চালের তৈরি কোনও জিনিস খান না অনেকে। ফলে ষষ্ঠী কিংবা অষ্টমী দু’দিনই ঘরোয়া মেনুতে রাখতে পারেন লুচি। সঙ্গে ছোলার ডাল, বা আলুর দম, ফুলকপির তরকারি, আলুর তরকারি, ইত্যাদি। রাখা যায় ধোঁকার ডালনা, ছানার কোফতা, চাটনি-ও।
ষষ্ঠী এবং অষ্টমীর মতো কোনও বিধিনিষেধ কিন্তু সপ্তমীর ভোজে নেই। তাই এই দিন পাতে পড়তেই পারে বাঙালির সাধের বিরিয়ানি থেকে শুরু করে চাউমিন, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, বাসমতী পোলাও, চিংড়ি মালাইকারি, পাবদার ঝাল-সহ যে কোনও পছন্দের পদ। চলতে পারে লেবানিজ, কন্টিনেন্টাল-সহ হরেক রকম ভিনদেশি খাবারও।
অন্যান্য দিন যেমন-তেমন, কিন্তু মাংস ছাড়া দুর্গাপুজোর নবমী? এ যেন ভাবা-ই যায় না! এ দিন কষা মাংসর সঙ্গে পোলাও বা ভাত হলে কিন্তু মন্দ হয় না, কী বলুন?
দশমী মানেই মন খারাপের সুর। তাই এই দিন মেনুতে যা-ই থাক না কেন, সঙ্গে মিষ্টি থাকা চাই-ই চাই। মিষ্টিমুখ ছাড়া বিজয় দশমী অসম্পূর্ণ। তবে এ দিন অন্যান্য নানা রকমের মিষ্টির চেয়ে নাড়ু, বোঁদে, গজার মতো মিষ্টিরই পাল্লা ভারী!
পাঁচ দিনের জমাটি ভোজের প্ল্যান তা হলে তৈরি হয়েই গেল!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।