Kojagori Laxmi Puja 2025

আজও বাড়িতে বাড়িতে কোজাগরী পূর্ণিমা আসে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে

‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে’– গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এ গান ছাড়া অসম্পূর্ণ বাঙালির কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। গানটি যেন কোজাগরীর আবহ বয়ে আনে।

Advertisement

সৌভিক রায়

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৭
Share:

প্রতীকী চিত্র

‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে’– গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এ গান ছাড়া আজও অসম্পূর্ণ বাঙালির কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আকাশে গোল থালার মতো পূর্ণিমার চাঁদ, বাড়িতে বাড়িতে ধূপ-ধুনো-নাড়ু-খই পাকানোর সুবাসের সঙ্গে সঙ্গে এই গানটিও যেন কোজাগরীর আবহ বয়ে আনে। পঞ্চাশ বছর ধরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে বাঙালির মুখে মুখে ঘোরে এই গান।

Advertisement

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের এই বিখ্যাত গানটি কনক মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা ছায়াছবি ‘দাবি’-র অন্তর্গত। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে। গানের কথা লিখেছিলেন মিল্টু ঘোষ, সুর দেন অমল মুখোপাধ্যায়। ছবিটি তেমন জনপ্রিয়তা না-পেলেও, গানটি ‘সুপার হিট।’

গানটির একে বারে প্রথম দিকের কথায় রয়েছে, ‘শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি, সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি। প্রদীপ জ্বেলে নিলাম তোমায় বরণ করে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে।’ গানেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কী ভাবে দেবীকে আবাহন করা হচ্ছে, আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আবার গানের মাধ্যমে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে, তিনি যেন ঘর আলো করে থাকেন। অর্থাৎ অচঞ্চলা হন। লক্ষ্মী হলেন সম্পদ, সমৃদ্ধি, বৈভবের দেবী। তাঁর, ঘর আলো করে থাকার অর্থ সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি বিরাজ করা, এই কামনা থেকেই তো তাঁর আরাধনা করা হয়। গানের কথায় তাও উঠে আসে।

Advertisement

আবহমানকাল ধরে বাংলার মেয়ে-বউয়েরা সুরে করে পড়ে যাচ্ছেন লক্ষ্মীর পাঁচালি– ‘দোলপূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ...’। পাঁচালির ছড়া, লক্ষ্মী পুজোর মন্ত্রোচ্চারণ সঙ্গে একই আসনে বসে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানটিও। লাল পার গরদের শাড়ি পরে কেউ কেউ পুজোর গোছগাছ করতে করতে গেয়ে ওঠেন, ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে’। কেউ প্রদীপ ধরাতে ধরাতে গুনগুন করেন এই সুর। সঙ্গীতের পরিচয়কে ছাপিয়ে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর অন্যতম উপাচার হয়ে ওঠে গানটি।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement