বাগবাজার সর্বজনীন: ১০ দিনের শারদোৎসবের শেষ বেলা! আজ বিজয়া দশমী। প্রথা মেনে আজই দেবী দুর্গার বিসর্জন হওয়ার কথা। বনেদি বাড়ি এবং প্রাচীন ঐতিহ্যশালী বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি এখনও এই প্রথা মেনে চলে। যাদের মধ্যে অন্যতম উত্তর কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন বাগবাজার সর্বজনীন। এ দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে সেখানে সিঁদুর খেলায় মাতেন মহিলারা।
কলকাতার মুদিয়ালি ক্লাব: বারোয়ারি এই পুজোও আজ শেষ হল। প্রথা মেনে হল দেবীর বরণ ও সিঁদুর খেলা। তাতে অংশ নিতে দেখা যায় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যকে।
শোভাবাজার রাজবাড়ি: প্রত্যেক বছরই শারদীয়া শেষে দশমীতে এই বাড়ির ঠাকুরদালানে সিঁদুর খেলার চেনা ছবি ধরা পড়ে। এ বারও যার ব্যতিক্রম হয়নি। পরিবারের মহিলারা মায়ের চরণে সিঁদুর ছুঁইয়ে একে অপরের সিঁথি রাঙিয়ে দেন। প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো এই ঐতিহ্য আজও নিখাদ।
জোড়াসাঁকোর দাঁ বাড়ি: উত্তর কলকাতার আরও এক বনেদি বাড়ি হল - জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ-এর বাড়ি। এখানেও আজই প্রতিমার বিসর্জন ও তার আগে সিঁদুর খেলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসে প্রথম এই বাড়িতেই সোনার গয়না পরে নিজেকে সাজিয়ে তোলেন!
ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ি: ১০১ বছরের পুরনো এই পুজো কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গোৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম। আজ এই বাড়িতেও সিঁদুর খেলা হয়। ছিলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক-সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি: বহু ইতিহাসের সাক্ষী নদিয়ার কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি। এখানে দেবী দুর্গা পূজিতা হন রাজরাজেশ্বরী রূপে। আজ এই বাড়িতেও সিঁদুর খেলা হয়। আমজনতার সঙ্গে মিলেমিশে তাতে যোগ দেন রাজ পরিবারের সদস্যরাও।
কাশিমবাজার রাজবাড়ি: মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত কাশিমবাজার রাজবাড়িতে দশভূজার আরাধনা করা হয় যাবতীয় প্রাচীন নিয়ম মেনে। সেই অনুসারেই আজ এখানে সিঁদুর খেলা হয়।
বালুরঘাট নিউ টাউন ক্লাব: দক্ষিণ দিনাজপুরের এই বারোয়ারি পুজোয় প্রতিমাকে সিঁদুর দান করতে এ দিন সকাল থেকেই মহিলাদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে।
দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক: রাজ্যের বাইরে হওয়া পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রাজধানী নয়া দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গোৎসব। এ দিন সেখানেও সিঁদুর খেলার রীতি পালন করা হয়।
মুম্বইয়ের মুখোপাধ্য়ায় পরিবারের পুজো: মায়ানগরী মুম্বইয়ের দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দা মুখোপাধ্যায় পরিবার। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী তনুজা, কাজল থেকে শুরু করে রানি মুখোপাধ্যায়! সেই পরিবারের পুজোরও আজ ছিল শেষ দিন। প্রথা মেনে তাই সেখানেও সিঁদুর খেলা হয়। দেখা মেলে বলিপাড়ার বহু তারকার। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।