Durga Puja Celebration

ট্যান পড়েছে? এ সব উপায় জানলে আর চিন্তা কিসের?

ট্যানিংয়ের একগুচ্ছ সমাধান রইল আপনার জন্য।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৪৪
Share:

ঘরোয়া টোটকায় ট্যান তুলুন।

সারা বছর কাজের কারণে শহরের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ঘুরে বেড়ানো এমন কিছু বিচিত্র নয়। কিন্তু সেই ঘোরার মাঝে ত্বকের যে কত ক্ষতি হয়ে যায়, সে খেয়াল আছে কি?

Advertisement

বাইরে বেড়ানোর সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা তো অপরিহার্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোদের চোখ রাঙানিতে ট্যান আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। পুজোর সময় সাজগোজের প্রস্তুতিতে খামতি না থাকলেও হাত বা গলার ট্যান কিন্তু আপনার পুজোর সাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবেই।

ফেসিয়াল হোক বা ঘরোয়া ফেস প্যাক, পুজোর আগে এ সব দিয়েই ট্যানকে জানান বিদায়। ট্যানিংয়ের একগুচ্ছ সমাধান রইল আপনার জন্য।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ বার পুজোয় চমক দিন, উপহার দিন এই ভাবে​

ঘরোয়া পদ্ধতি

আলুর রস: শুধু খাওয়ার পাতেই নয়, রূপচর্চাতেও কিন্তু আলু অনেক সমস্যার মুশকিল আসান। থেঁতো করা আলু হোক কিংবা আলুর গাঢ় রস, ট্যান পড়ে যাওয়া অংশে প্রায় আধ ঘন্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। আর একটু কার্যকরী করে তুলতে সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ১ টেবিল চামচ লেবুর রসও।

টম্যাটো: মনে পড়ে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’-র টম্যাটিনা উৎসবের কথা? টম্যাটোর ত্বকের দেখভালের ক্ষমতা কারও অজানা নয়। এর মধ্যে থাকা লাইকোপিন সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে শুধু ত্বককে রক্ষাই করে না, সঙ্গে বাড়ায় উজ্জ্বলতাও। প্রতি দিন টম্যাটোর নির্যাস ট্যানের জায়গাগুলিতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পুজোর আগেই পেয়ে যাবেন ঝলমলে ত্বক।

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার উপকারিতা কারও অজানা নয়। অ্যালোভেরার শাঁস বার করে নিয়ে তার প্রলেপ ব্যবহার করতে পারেন ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিতে। অ্যালোভেরা ত্বককে ঠান্ডাও রাখে আর জ্বালাও নিরাময় করে। চাইলে এর সঙ্গে ১ চামচ মসুর ডাল ও টম্যাটোর নির্যাস মিশিয়ে তৈরি করে নিন ফেস প্যাকও।

আরও পড়ুন: প্যান্ডেল হপিংয়ের মাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি, কী করবেন, কী করবেন না​

লেবুর রস: লেবুর রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতায় খুব তাড়াতাড়িই তুলে ফেলতে পারেন ট্যান। লেবুর রস ত্বকের ট্যান পড়া জায়গাগুলিতে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের সঙ্গেও ১ টেবিল চামচ লেবু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চমৎকার ডি-ট্যানিং ফেস প্যাক।

শশার নির্যাস: দুধের সঙ্গে শশার নির্যাস মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এই পদ্ধতি দিনে দু’বার ব্যবহার করলে এক সপ্তাহেই দেখতে পারবেন পরিবর্তন। এ ছাড়াও শশার নির্যাসের সঙ্গে লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে লাগালেও মিলবে সুফল।

আরও পড়ুন: অসুখের ভ্রূকুটিতে পুজোর আনন্দে কাটছাঁট? রইল দরকারি সমাধান​

বেসন ও দই: বেসনের সঙ্গে দই মিশিয়ে তাতে অল্প জল দিয়ে তৈরি করে নিন ডি-ট্যানিং ফেস প্যাক। এই মিশ্রণ ট্যান যেমন তুলবে, তেমনই ত্বক করবে নরম ও মসৃণ।

তবে ঘরোয়া পদ্ধতি বেশ ঝক্কির ভেবে কেউ যদি বিনা শ্রমেই সুফল পেতে চান, তা হলে ঘরোয়া পদ্ধতি ছাড়াও পার্লারে গিয়েও করে নিতে পারেন ডি-ট্যান ফেসিয়াল। যাঁরা ব্লিচ করায় অভ্যস্ত, তাঁরা ফেসিয়ালের সঙ্গে ডি-ট্যান ব্লিচও করাতে পারেন। তবে ফেসিয়াল, মাসাজ বা ব্লিচের পরেও ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সারা বছরই কম-বেশি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন