খেয়াল রাখুন পেটের স্বাস্থ্যের।
দুর্গা পুজো মানে সবে উৎসবের মরসুমের শুরু। পরপর লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলী, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী দিয়ে সেই আমেজের সমাপ্তি। এই উৎসবের মরসুমে খাওয়াদাওয়ার উপরে প্রায় কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তবে এ বার একটু সামলে! দুর্গাপুজোর কয়েক দিন যতই অত্যাচার করে থাকুন না কেন, পেটের স্বাস্হ্যের উপর, সময় এসেছে নিয়ম মেনে চলার।
কারও কারও অফিস খুলে গিয়েছে দশমীর পরেই, কারও বা লক্ষ্মীপুজোর পর, তো কারও আবার দীপাবলী পেরিয়ে খুলবে কাজের জায়গা। তাই এখনই যদি মন না দেন স্বাস্হ্যের যত্নের দিকে, তা হলে কিন্তু বিপদ সামনেই। তাই জেনে নিন, কী ভাবে পুজোর মরসুমে খেয়াল রাখবেন পেটের স্বাস্হ্য।
পুজোতে রাত জেগে ঠাকুর দেখার মাঝে খেয়াল থাকে না খাওয়ার সময় কোথা থেকে বয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করুন প্রতি দিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করার। খাবারের মাঝে মোটামুটি চার ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান একই থাকলে খাবার হজম হবে সহজে।
আরও পড়ুন: পুজো শেষে কী ভাবে ফিরবেন পুরনো ডায়েটে জানেন? রইল টিপ্স
লুচির সঙ্গে মটন কষা কিংবা গরম ভাতের পাতে কচি পাঁঠার ঝোল তো কম হল না! মটন স্বাদ ও আহ্লাদ দুইয়ের চাহিদা মেটালেও স্বাস্হ্যের জন্য কিন্তু খুব একটা সুবিধার নয়। তাই এবার খাবার তালিকার পুরোভাগে থাকুক চিকেন। চিকেনের মশলাদের ঝোল বা কষা ছেড়ে সবজি দেওয়া স্টু বা স্যুপেই করুন মনোনিবেশ।
রোজ তো আর চিকেন খাবেন না। তাই প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে প্রাতরাশে থাকুক সিদ্ধ ডিম। অমলেট বা তেলে ভাজা পোচ এড়িয়ে চলুন।
বড় কাতলা মাছ বা চর্বি যুক্ত মাছ খাওয়া বন্ধ রাখুন বেশ কয়েক দিন। বদলে বেছে নিন চারা মাছ ও ছোট মাছ। এতে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রাও বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: পুজোয় প্রচুর জাঙ্ক ফুড খেয়েছেন? মেদ সরাতে পাতে নিন এই খাবার
কফি খাওয়া কম করুন। ক্যাফেইন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়, ফলে হজমে অসুবিধা দেখা দেয়। কফির বদলে সকালে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন গ্রিন টি।
পুজোর মরসুমের মাঝে সব থেকে বড় চিন্তা হল শরীরকে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচানো। শরীরের চাহিদা বুঝে সেই পরিমাণে জল খান। মাঝেমধ্যে ডায়েট তালিকায় থাকুক ডাবের জলও।
খাওয়ার অভ্যাস ঠিক রাখতে দই থাকুক খাবার শেষে। অফিসে গেলে সঙ্গে রাখুন ফল। কাজের মাঝে মাঝেই খেতে থাকলে খালি থাকবেনা পেটও। এছাড়া ব্রেকফাস্টেও রাখতে পারেন ফলের রস।