প্রতীকী চিত্র
পুজো মানেই নতুন জামা, সাজগোজ আর ঝলমলে চুলে ঘুরে বেড়ানো। কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়ালেই যদি দেখা দেয় পাকা চুল , মেজাজ একে বারেই খারাপ হয়ে যায়। রং, হেনা—সবই চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এগুলির প্রভাব যত দিন থাকে, তত দিনই সাময়িক স্বস্তি। আবারও ধূসর রঙে ভরে ওঠে মাথা। এই সময়েই ঘরোয়া এক উপাদান দিয়েই ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনার চুলের রং।
এই সহজ উপায়টি হল হলুদ। হলুদ শুধু রান্নাঘরের মশলা নয়, বরং প্রাচীন টোটকায় চুলের যত্নেও এর ব্যবহার ছিল বহুল প্রচলিত। হলুদ শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, আপনার চুলের জন্যও এটি দারুণ একটি টোটকা। আধুনিক বিজ্ঞানও বলছে, হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন, যা ‘অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট’ এবং ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি’ গুণে ভরপুর। এই উপাদানগুলি চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং অকালপক্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাহায্য করে মাথার ত্বককে সংক্রমণমুক্ত ও খুসকিমুক্ত রাখতে।
তা হলে আর দেরি কেন? পুজোর আগে এই টোটকা এক বার ব্যবহার করে দেখতে ক্ষতি কী? পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলুদকে ব্যবহার করার কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হল-
১। শুকনো কড়াইতে কাঁচা হলুদ ভেজে অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে রঙের মতো ব্যবহার করা যায়।
২। শিকাকাই-রিঠার জলে অল্প হলুদ মিশিয়ে শ্যাম্পুর মতো লাগালে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে, চুলের কালো ভাবও বজায় থাকে।
৩। কেউ কেউ আবার নারকেল তেলে হলুদ দিয়ে গরম করে মালিশ করেন। সপ্তাহে দুই-তিন বার ব্যবহার করলে খুশকি ও চুল পড়া কমতে পারে।
৪। আমলকি বা মধুর সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও চুলে লাগানো যায়।
ফলাফল অবশ্যই ব্যক্তিভেদে ভিন্ন। কারও চুলে উজ্জ্বলতা বাড়ে, কারও পাকা চুলের হার কিছুটা কমে। তবে এ কথা নিশ্চিত— রাসায়নিক রঙের মতো চুল নষ্ট করে না হলুদ। বরং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
পুজোর আগে তাই পার্লারে না গিয়ে ভরসা রাখা যেতেই পারে রান্নাঘরের এই অতি চেনা উপাদানের উপর। সাজগোজে যেমন নতুনত্ব চাই, তেমনই চুলের যত্নেও প্রয়োজন প্রাকৃতিক ছোঁয়া।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।