পুজো প্রায় চলেই এসেছে। আর এই সময় চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। দূষণ, স্ট্রেস এবং অযত্নের কারণে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তবে, হতাশ হওয়ার কিছু নেই! কিছু ভেষজ তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে। চলুন জেনে নিই এমন কিছু ভেষজ তেলের গুণাগুণ।
ক্যাস্টর তেল - ঘন চুলের জন্য: ক্যাস্টর তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে খুবই কার্যকরী। এতে আছে রিসিনোলিক অ্যাসিড। যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য এটি খুবই উপকারী।
ক্যাস্টর তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: ক্যাস্টর তেল বেশ ঘন হয়, তাই এটি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভাল। সমান পরিমাণ ক্যাস্টর তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে দু’দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেল তেল - চুলের মূনারকেল তেল - চুলের মূল ভিত্তি: নারকেল তেলকে বলা হয় চুলের সুপারফুড। এতে থাকা লরিক অ্যাসিড চুলের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। এটি চুল মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।ল ভিত্তি: নারকেল তেলকে বলা হয় চুলের সুপারফুড। এতে থাকা লরিক অ্যাসিড চুলের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। এটি চুল মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: রাতে ঘুমানোর আগে হালকা গরম নারকেল তেল মাথার ত্বকে ও চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। পর দিন সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
জোজোবা তেল - মাথার ত্বকের জন্য আদর্শ: জোজোবা তেল মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের (সিবাম) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেল বা শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। এটি মাথার ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
জোজোবা তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে জোজোবা তেল মাথার ত্বকে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এর পর শ্যাম্পু করে নিন। এটি সরাসরি ব্যবহার করা যায় এবং এর কোনও বাড়তি মিশ্রণের প্রয়োজন নেই।
বাদাম তেল - চুলের পুষ্টির উৎস: বাদাম তেল (আমন্ড অয়েল) ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস। এটি চুল নরম ও মসৃণ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এটি চুল পড়ার সমস্যা কমিয়ে আনে।
বাদাম তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: বাদাম তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। আপনি চাইলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা তেল - চুলকে করে প্রাণবন্ত: অ্যালোভেরা জেল চুলের যত্নে খুব কার্যকর। অ্যালোভেরা তেলও সমান উপকারী। এটি চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে। পাশাপাশি খুশকি এবং চুলকানির মতো সমস্যা কমায়। এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: অ্যালোভেরা তেল সাধারণত নারকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। দুই চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে দু'বার এটি ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
নিয়মিত নিজের যত্ন নিন: মনে রাখবেন, শুধু তেল ব্যবহার করলেই হবে না। চুল পড়া কমাতে হলে প্রতি দিনের খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রাতেও পরিবর্তন আনা জরুরি। সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।