উৎসবের মরসুম। পুজোর সরঞ্জামের সঙ্গে কতই না যত্নে আনানো হয় বস্তা বস্তা টাটকা ফুল। কিন্তু পুজো শেষ হয়ে এক দিন পেরোতেই এর সবটাই বাসি হয়ে যায়।
কথিত আছে, পুজো হয়ে গেলে বাসি ফুল রেখে দেওয়াও অশুভ। অগত্যা, শুকনো ফুল ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কিন্তু জানেন কি, বাসি ফুল মানেই কিন্তু আবর্জনার বস্তু নয়।
যদি বাগান পরিচর্যার শখ থাকে, তা হলে এই পুজোয় ব্যবহৃত ফুলই হবে আপানার জন্য মোক্ষম বস্তু।
ঘরোয়া পদ্ধতিতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সার। জেনে নিন প্রণালী।
শুকনো ফুলের সঙ্গে অনেক সময়ে মিশে থাকে বাসি বেলপাতা, কলাপাতা, দূর্বা ঘাস-সহ অন্যান্য জিনিস।
সবার আগে সেগুলিকে একে অপরের থেকে আলাদা করুন।
এর পর শুকনো গাঁদা ফুল, জবার সঙ্গে সবুজ পাতা ইত্যাদি মিশিয়ে নাইট্রোজেন সার বানানো সম্ভব।
অন্য দিকে শুকনো কলাপাতা, নারকেল, কাগজ এক সঙ্গে মিশিয়ে নিলে কার্বন সমৃদ্ধ সার তৈরি।
তবে খেয়াল রাখবেন এর সঙ্গে যেন কাপড়ের ফুল না মিশে যায়। তাতে গাছের ক্ষতি হতে পারে।
আবার সারের পরিমাণটাও বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত সারের কারণেও ক্ষতি হতে পারে গাছের।
সার দেওয়ার সময়ে দেখবেন যেন ত্বকের সংস্পর্শে না আসে। এতে ত্বকেরও ক্ষতি। কাজ শেষ হলে ভাল করে পরিষ্কার করে দিন হাত। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)