প্রতীকী চিত্র
পুজোর সানাই বেজে গিয়েছে। শহরের অলিগলি ভরে উঠছে প্যান্ডেলের ভিড়ে। এই সময়ে রাত জেগে প্যান্ডেল হপিং, বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা তো চলতেই থাকবে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝেই একটা চিন্তা থেকে যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা। মেকআপ যতই করুন, ত্বক ভেতর থেকে ঝকঝকে না হলে, সেই গ্লো কিছুতেই আসে না। তা ছাড়া, পুজোর মুখে সাঁলোয় লম্বা লাইন দেওয়ার সময়ই বা কোথায়?
কিন্তু মুশকিল আসান হবে মাত্র ৫ মিনিটে। ত্বকের জেল্লা ফেরাতে খুব দামি প্রডাক্টের দরকার নেই। বরং রান্নাঘরের অতি সাধারণ কিছু জিনিসই জীবনের রঙ ফিরিয়ে আনতে পারে আপনার ত্বকে। হাতে গোনা কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক, যা ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে চটজলদি।
১. মধু, দই আর গোলাপ জলের মিশ্রণ:
এক চামচ দই, এক চামচ মধু আর এক চামচ গোলাপ জল— এই তিন উপাদানকে একসঙ্গে মেশালেই তৈরি হয় ম্যাজিক প্যাক। রাতে বা সকালে, এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই ত্বক দেখাবে একে বারে জেল্লাদার। ত্বককে নরম রাখতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার, সঙ্গে মধুর আর্দ্রতা আর গোলাপ জলের সতেজতা মিলে ত্বককে দেয় এক অন্যরকম প্রাণ।
২. কাঠবাদাম আর ওট্সের যুগলবন্দি:
১০টি খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম ভাল করে বেটে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ ওট্স এবং সামান্য দই। ত্বক যদি শুষ্ক প্রকৃতির হয়, তবে এক চা চামচ মধু যোগ করুন। আর যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তবে মধু নয়, বরং এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন। এই প্যাকটি মুখে মিনিট দশেক রেখে দিন। শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বককে জেল্লা দেবে, আর ওট্স করবে স্ক্রাবিংয়ের কাজ, ফলে ত্বকের মৃত কোষ ঝরে গিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
৩. শসা আর মধুর তরতাজা প্যাক:
অর্ধেকটা শসা মিক্সিতে বেটে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ মধু। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন। ব্যস, এর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনের ক্লান্তি বা রাতের জাগরণের ছাপ দূর করে চটজলদি জেল্লা আনতে এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। শসা ত্বককে শীতলতা দেয় আর মধু দেয় পুষ্টি।
এই সব টোটকা ব্যবহার করে এবার ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে আপনার ত্বকও হয়ে উঠুক ঝলমলে!
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।