প্রতীকী চিত্র।
গোটা ভারত জুড়ে সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হবে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কিন্তু জানেন কি কেন ভাইফোঁটার সময় চন্দন বা দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয়? কেনই বা সঙ্গে থাকলে কাজল, মধু? চলুন এর নেপথ্যের কারণ জেনে নেওয়া যাক।
চন্দনের তিলক দিকে নাকি মাথা ঠান্ডা থাকে, বৃদ্ধি পায় ধৈর্য। শুধু তাই নয়, চন্দনের গুণে মন থাকে শান্ত। ফলে বৃদ্ধি পায় একাগ্রতাও। ঋষি মুনিরা যখন চন্দনের এই গুণের বিষয়ে জানতে পারেন তখন থেকে তাঁরা কপালে চন্দনের তিলক কাটার রীতি শুরু করেন। আজও তাই বিভিন্ন মন্দিরে গেলেও চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই ভাইফোঁটাতেও চন্দনের ফোঁটা দিয়েই ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করা হয়।
অন্য দিকে হিন্দু ধর্মে দইকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই জন্যই যে কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে বাড়ির বড়রা দই চিনি খাওয়ান। ভাইফোঁটাতেও তাই ভাই বা দাদাকে দইয়ের ফোঁটা দেওয়ার রীতি রয়েছে। সঙ্গে থাকে কাজল, মধুও। মনে করা হয়, কাজল কুনজর দূরে রাখে।
ভাইফোঁটা দিয়ে দিদি বা বোনেরা ভাই বা দাদাদের প্রদীপের তাপ দেন। মঙ্গল চেয়ে আশীর্বাদ করেন বা প্রণাম। এরপর মিষ্টিমুখ করানো হয়।
ভাইফোঁটার থালায় কী কী রাখার নিয়ম?
অনেক বাড়িতে কেবল চন্দনের ফোঁটা দেওয়া হয়। অনেক বাড়িতে আবার চন্দন এবং দই দুই মিলিয়ে ফোঁটা দেওয়া হয়, তো কোথাও আবার চন্দন, দইয়ের পাশাপাশি মধু এবং কাজলও থাকে। তাই ভাইফোঁটার থালায় বাড়ির রীতি অনুযায়ী এই জিনিসগুলি তো রাখতেই হবে। সঙ্গে রাখবেন ধান, দুব্বো, প্রদীপ। এ ছাড়া অন্য আরেকটি থালায় মিষ্টি, জল রাখবেন। আসন পেতে ভাইকে বসাবেন, নিজেও আরও একটি আসনে বসবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।