প্রতীকী চিত্র
হাত-পায়ের অবাঞ্ছিত রোম তুলে ফেলাও তো রূপচর্চারই এক অঙ্গ। বিশেষ করে পুজোর মরশুমে রোমহীন, জেল্লাযুক্ত কোমল ত্বক পেতে কে না চায়। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু দিন অন্তর অন্তর বাঁধাধরা টাকা খরচ এবং ব্যথার ঝক্কি পোহাতে কেউই চান না। তাই চটজলদি সমাধান খুঁজতে রেজ়ারই ভরসা।
দামেও যেমন সহজলভ্য, ব্যবহারেও তেমনই সোজা। একটি ভাল রেজ়ার আর ভাল শেভিং ক্রিম ও জল। ব্যস, সহজেই পাওয়া যায় মসৃণ ত্বক, তা-ও কোনও ব্যথা ছাড়াই। কিন্তু এই মুশকিল আসান করতে গিয়ে নিজের ত্বকের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন না তো? নিয়মিত রেজ়ার ব্যবহার করে অজান্তে নিজের ক্ষতিই করছেন কিন্তু।
প্রথমত, রেজ়ার ও ওয়্যাক্সিংয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, ওয়্যাক্সিং অবাঞ্ছিত রোমকে তার গোড়া থেকে উপড়ে ফেলে। যার কারণে নতুন রোম গজাতেও সময় লাগে এবং একইসঙ্গে ত্বকও মসৃণ থাকে দীর্ঘদিন। রেজ়ারের ক্ষেত্রে কেবল রোমের উপরিভাগ কেটে বাদ চলে যায়। ৩ থেকে ৪ দিনের মাথায় আবারও মাথা তুলে বসে তারা। অনেকের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি হয়।
রেজ়ার দিয়ে রোম চেঁছে তুললে অনেক সময়ে র্যাশ, আঘাত, ইনগ্রোন হেয়ার বা রেজ়ার বার্ন দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও ঘন ঘন শেভিংয়ের কারণে আগের থেকে রোমগুলি আরও মোটা আর ঘন হয়ে পড়ে।
রেজ়ার ব্যবহারের অনেক নিয়ম রয়েছে। যা সাধারণত অবহেলাই করা হয় ব্যস্ততার ফাঁকে। রেজ়ার করার পরে ত্বক অনেক সময়ে খসখসে হয়ে পড়ে। এর জন্য আগেভাগেই গরম জল দিয়ে স্নান অথবা স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হয়, যাতে ত্বকের উপরের মৃত কোষগুলি উঠে যায়।
কত দিন অন্তর রেজ়ার বদলাতে হয় জানেন? চিকিৎসকেরা বলেন, একটি রেজ়ার পাঁচ থেকে সাত বার ব্যবহারের পরেই তার ব্লেড বদলে দেওয়া জরুরি। তা না হলে মরচে ধরা ব্লেডের সংস্পর্শে এসে ত্বক কেটে যেতে পারে। যা ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণের মূল কারণ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।