পুজো আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগে নিত্যদিনের কাজের চাপ ও বাইরের ধুলো-ময়লায় বদলে গিয়েছে মুখের নকশাই! ঘাম যেমন হচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে মুখের তৈলাঙ্ক ভাবও।
নিয়ম করে প্রতি দিন ফেশওয়াশ ও স্ক্রাবিংয়ের পরেও মুখের হাল ফেরানো যে দুষ্কর, তা ভালই টের পাওয়া যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কার্যকরী সমাধান হিসেবে ‘ক্লে মাস্ক’-এর দ্বারস্থ হতেই পারেন।
রোদে পুড়ে হওয়া দাগছোপ দূর করা হোক অথবা ব্রণ ও উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা, ক্লে মাস্কেই মিলতে পারেন সমাধান। ত্বকের উপর ক্লে মাস্ক চুম্বকের মতো কাজ করে। ছোট ছোট রন্ধ্রের মধ্য দিয়েও সমস্ত মৃত কোষ, জমে থাকা ধুলো-ময়লা বের করে নিয়ে আসে এটি। এ ছাড়া দূর করে ব্ল্যাক হেড্স ও হোয়াইট হেড্স-এর মতো সমস্যাও।
ত্বকের মধ্যে সিবামের কারণেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ক্লে মাস্ক অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এ খানেই শেষ নয়, ত্বকের মধ্যে রক্ত ও অক্সিজেনের সঞ্চালনকেও ঠিক রাখে এটি।
তবে বাজারে বিভিন্ন রঙের ক্লে মাস্ক পাওয়া যায়। সব ধরনের মাস্কই কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী মুখে মাখুন এটি।
অনেকেই ভোগেন ফুসকুড়ি বা ব্ল্যাক হেড্সের সমস্যায়। তাঁদের জন্য কালো ক্লে মাস্ক খুব উপকারী। এখন তো বাজারে চারকোল ক্লে মাস্কও পাওয়া যায়।
ত্বককে ‘ডিটক্স’ করার জন্য সাদা রঙের ক্লে মাস্ক খুব কার্যকরী। বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন এটি। ‘বেটোনাইট’ পাউডারের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও কিছু এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান, কাজ দেবে।
ত্বক উজ্জ্বল করতে মুলতানি মাটির চল আজকের নয়। বহু কাল আগে থেকেই বাঙালিরা ত্বকের হাল ফেরাতে মুলতানি মাটি ব্যবহার করে এসেছেন। এটিও কিন্তু ক্লে মাস্কের কাজ করতে পারে।
এর সঙ্গে গোলাপ জল অথবা চন্দন বেটে যোগ করতে পারেন।
অতিরিক্ত তৈলাঙ্ক ত্বকের জন্য সবুজ রঙের ক্লে মাস্ক উপকারী।
লাল চন্দনও কাজ করে ক্লে মাস্কের। পিগমেন্টেশনের সমস্যায় ভুগছেন? এ ক্ষেত্রে সমাধান মিলবে এতেই। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )