Durga Puja 2020

টব হোক বা ফুলদানি, ‘ফ্লাওয়ারি ডেকর’-এ ঝলমলে ঘর

হেমন্তের সন্ধেয় আপনার বাড়ি বেল, জুঁই, গোলাপ, জিনিয়া, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, হরেক রঙের জবার শোভায় হয়ে উঠবে মনোরম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৫
Share:

ফুলের সঙ্গে মন ভাল হওয়ার একটা সংযোগ রয়েছে। তাই বাড়ির অন্দরেও থাকুক ফুলের ছোঁয়া। ফুলের গাছ কিংবা ফুলের তোড়া সাধারণ বাড়িতেও এনে দেয় অন্য মাত্রা। বাড়ি সাজানোর জন্য ফুল কিংবা ফুল গাছের চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না। রবিঠাকুরের কথায় তাই বলাই যায়,‘‘ফুলের বনে যার পাশে যায়, তারেই লাগে ভাল।’’

Advertisement

হেমন্তের সন্ধেয় আপনার বাড়ি বেল, জুঁই, গোলাপ, জিনিয়া, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, হরেক রঙের জবার শোভায় হয়ে উঠবে মনোরম। গোলাপ, বেল, আর জুঁই সারা বছর লাগানোর দরকার হয় না। ফুল ফোটা শেষ হয়ে গেলে গাছ ছেঁটে দেওয়া হয়। পুরনো গাছের শিকড় কেটে নতুন করে বসানো হয়। এই সময় থেকে নতুন করে গাছগুলোর যত্নআত্তি শুরু হয়। এই দুটি গাছ টবে লাগিয়ে সার দিলেই হল। খুব বেশি যত্ন চায় না এরা। বারান্দায়, সিঁড়িতে, জানলার ধারে টবে সহজেই রাখতে পারেন এদের।

আপনি কি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার ভক্ত? প্রিয় সাহিত্যিকের উপন্যাসে পুট্টুশ ফুলের কথা মনে পড়ে? সেই চারাও কিন্তু সহজেই মিলবে যে কোনও নার্সারিতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রুচিবোধ আর সুরক্ষার মেলবন্ধনেই ঝলমলে হোক বসার ঘর

লতানে গাছে সাজুক অন্দর-বারান্দা

আর মাস চার-পাঁচ পর বসন্ত এলেই পাপড়ি মেলে ফুটে উঠবে ক্লাইম্বার্স আর ক্রিপার্সরা। লতানে গাছ মন কেড়ে নেয় সহজে। বাড়ির পাঁচিল বা প্রবেশপথের দু’পাশে তো অবশ্যই, লতানে গাছ জায়গা করে নিয়েছে অভ্যন্তরেও। ইন্ডোর প্ল্যান্টসের মতোই লতানে গাছের সাজে বদলে যাচ্ছে অন্দরসজ্জা।

বোগেনভিলিয়া কিংবা মাধুরীলতা ঘরের সাজে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে।

যাঁদের বাড়িতে পাঁচিল কিংবা ঢোকার বড় সদর নেই, তাঁরা চাইলেই বারান্দার রেলিংয়ে, জানালার বাইরে রাখতেই পারেন এ ধরনের গাছ। রবীন্দ্রনাথের বাগানবিলাস অর্থাৎবোগেনভিলিয়ার প্রেমে পড়েননি, এমন মানুষ কমই আছেন। গাঢ় গোলাপি, লাল, কমলা, হালকা গোলাপি, সাদা...হরেক রঙের সমাহার এই গাছে। তবে সাধারণ ভাবে আমরা যাকে বোগেনভিলিয়ার ফুল বলে চিনি, তা আসলে পাতা। পাতার মতোই একসঙ্গে ফুটে থাকা এই সুন্দর রঙিন থোকাগুলো আসলে ব্র্যাক্টস। বাড়ির বারান্দায় জানলার রেলিংয়ে থোকা থোকা বোগেনভিলিয়া কিংবা মাধুরীলতা ঘরের সাজে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘ওয়ার্ম’ কিংবা ‘কুল লাইট’, ঘরে এ বার শরতের রোশনাই

মাটির চওড়া পাত্রে জল রেখে তাতে ফোটাতে পারেন শাপলা ফুলও। ঘরের মধ্যে এ জাতীয় ফুল অন্য মাত্রা এনে দেবে অন্দরসজ্জায়।

কী ভাবে তৈরি করবেন চারা

এ মরসুমে ফুলের চারা শুধু যে যাদবপুর কিংবা শিয়ালদহের নার্সারিতে মিলছে এমন কিন্তু নয়। পছন্দ মতো ফুলের চারা মিলছে অনলাইনেও। টবে সূর্যমুখীর বীজ ছড়িয়ে চারা তৈরি করে নিন। বীজ কিনে বড় টবের মধ্যে ছড়িয়ে রাখুন। টব প্রতিদিন ভেজাতে হবে। এভাবে ভেজা অবস্থায় সাত দিন রাখতে হবে। তা হলে ওখান থেকে চারা বেরোবে। মাটি শুকিয়ে গেলে কিন্তু ফেটে যাবে, তখন ওখান থেকে আর চারা বেরোবে না। চারা একটু বড় হলে আলাদা আলাদা টবে বসিয়ে দিলে, গাছের বৃদ্ধিও ভাল হয়। ফুলও ভাল হয়।

আরও পড়ুন: এই সব উপায়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বইঘর

অন্দরসাজে ফুলদানি

মাটির পাত্রে জল রেখে তাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন।

অন্দরসজ্জাবিদ উর্বশী বসু বলেন, ঘরের সজ্জায় ফুলের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। ঘর একেবারে ছোট হলে, টব রাখার সমস্যা থাকলে এক গোছা রজনীগন্ধা কিংবা গোলাপ রেখে দিতে পারেন ফুলদানিতে। ঘরে একেবারেই জায়গা না থাকলে মাটির পাত্রে জল রেখে তাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। ভাসিয়ে দিন সুগন্ধী মোমবাতি। দেখুন তো, নিজের বাড়িটাই আজ কেমন অন্য রকম লাগছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন