Durga Puja 2020

পুজোয় থাকুক প্রকৃতির ছোঁয়া, ঘর সাজান এই ভাবে

আধুনিক অন্দরসজ্জায় থাকুক প্রকৃতির ছোঁয়া।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:০০
Share:

সারাদিনের ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে আসা, তারপরে বিশ্রাম। কিংবা মেঘলা দিনে প্রকৃতি উপভোগ বাড়ির জানালা থেকে, রান্নার ফাঁকে ফাঁকে মন ভালো করা পরিবেশ, নিজেদের স্বপ্নের বাড়িতে এসব গুলোই চাই আমরা। আর তাই সবসময় এমন একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন দেখি যেখানে প্রকৃতি ছুঁয়ে থাকে আমাদের।

Advertisement

শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণের স্থাপত্য এবং বাড়িগুলোর অন্দরসজ্জা আমাদেরকে কোথাও যেন অদ্ভুত এক প্রকৃতির আনন্দ দেয়। এত সুন্দর করে বানানো যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় বাড়ির বারান্দায় বসেই। গাছ এসে ছুঁয়ে দিয়ে যায় জানালা।

প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্দরসজ্জা এখন একটা ট্রেন্ড। মানুষ যত বেশি বুঝতে পারছে যে প্রকৃতিকে ধ্বংস মানে আসলে নিজেদের ক্ষতি, তত মানুষ সচেতন হচ্ছেন। বাংলাদেশের ঢাকা শহরে প্রায় প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে বাগান করা। শুধু টব দেওয়া বাগান নয়, প্রায় বাড়িতেই ছাদে মাটি ফেলে একেবারে পাকাপোক্ত ক্ষুদ্র অরণ্য বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আর ছোট ছোট গাছ শুধু নয়, রীতিমতো বৃক্ষ বসানো হয়েছে সেখানে।

আরও পড়ুন : পুজোর আগে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মিনি জিম, কী করতে হবে?

Advertisement

ফল ফুলের গাছের সমারোহ। মাঝখানে ঘাস বিছানো লন। ছোটো একটা ঝর্না যেন। জল পড়ছে কলকল করে। পাখিরা এসে বসছে। আহা, স্বপ্নের পরিবেশ। প্রকৃতির কাছে এলে এমনিতেই ভালো লাগে। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে এত ভাল কিছু সময় কেটে যায় সেখানে যে মন আনন্দে ভরপুর হয়ে যায়।

বাড়ির বারান্দায় থাকুক এক টুকরো বাগান।ছবি :শাটার স্টক

আমাদের শহরেও ছাদ বাগান জনপ্রিয় হচ্ছে বেশ। কিছু রুফ ট্রিটমেন্ট করে নিতে হয় আগে, তারপরে মাটি ফেলে গাছ লাগানো বা লনের জন্য মাটি ফেলা। খুব যত্ন করে বানিয়ে ফেলতে হবে বাগান। বাইরে বা ছাদে জায়গা না থাকলে বারান্দায় ছোট একটু খানি জায়গায় বানিয়ে নেওয়া যায় বাগান। কয়েকটা টব সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন পরিমণ্ডল গড়ে তোলা যায় সহজেই।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে পুজো, বাড়ির অন্দর স্যানিটাইজেশনে এই সব মাথায় রাখুন

শৌচাগারে প্রকৃতির ছোঁয়া, বড় সুন্দর এ সাজ। মূলত বাংলো ধর্মী বাড়িগুলোয় করা যায়। যেখানে আশেপাশে অনেকটা জায়গা থাকবে। বড় বাড়ি থাকবে না চৌহদ্দির মধ্যে। শৌচাগারে স্নানের অংশের কিছুটা ছাদহীন হবে। বেশ কিছু গাছ থাকবে চারপাশে।শাওয়ার কিউবিকল বা বাথ টাব থাকতে পারে। আসলে ছাদের কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখার কারণ হচ্ছে বৃষ্টি হলে ন্যাচারাল শাওয়ার নেওয়া নিজের শৌচাগারে। এটা এখনকার আধুনিক অন্দরসজ্জার ভাবনায় বেশ প্রচলিত। বিষয়টাও খুব নান্দনিক।

আরও পড়ুন : শরতের মিঠে রোদে ঘরে আসুক পুজোর গন্ধ

এছাড়াও বসার ঘরে বা শোওয়ার ঘরের দেওয়ালে প্রকৃতি কিংবা মহাকাশ বা সমুদ্রের তলদেশের জগতের ওয়াল পেপার লাগানো যায়। থ্রিডি ওয়াল পেপার বা পেইন্টিংও করা যায় দেওয়ালে। ঘরের মধ্যেই প্রকৃতির ছোঁয়া পেলে মন এমনিতেই ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন