নভেম্বরের অপেক্ষায় শহর। বাতাসে আলতো ঠান্ডা-ঠান্ডা ভাব। আর এই সময়ের আগমন মানেই কালীপুজোও এল বলে।
উৎসবের এই মরশুমে ঘরদোরের চেহারাটাও যেন বদলে যায়। বছরভরের সাদামাঠা জীবনে এক ঝলক উষ্ণতা আর উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে এই দিনগুলি।
কেবল আলো ঝলমলে শহর নয়, এই সময়ে প্রতিটি বাঙালি ঘরের কোণে কোণেও যেন উৎসবের ছন্দ বাজে। ঘরের সাজসজ্জায় সামান্য বদল আনলেই আপনার রোজকার আস্তানা হয়ে উঠতে পারে আরও আকর্ষণীয়, আরও প্রাণবন্ত।
এই সাজের প্রাণভোমরা হলো আলোকসজ্জা। শুধু বাতি নয়, বরং মাটির প্রদীপ আর মোমবাতিই আসল উষ্ণতা ছড়ায়।
দরজার উপরে, জানলার গ্রিলে ঝোলানো স্ট্রিং লাইট বা ফেয়ারি লাইট এক মায়াবী জগৎ তৈরি করে। আর যদি তাতে যোগ দেয় রঙিন কাগজ, কাঠ বা মেটালের লণ্ঠন, তবে তো কথাই নেই।
রঙের কথা উঠলেই প্রথমে আসে রঙ্গোলির প্রসঙ্গ। প্রবেশপথ কিংবা ঠাকুরঘরের সামনে নানা রঙের গুঁড়ো বা ফুল দিয়ে আঁকা আলপনা এক লহমায় মন কেড়ে নেয়।
গাঁদা ফুলের মালা— কালীপুজোর অন্যতম পরিচিত ছবি। শুধু ঠাকুরের আসনে নয়, দরজায় বা বারান্দার রেলিংয়ে এই ফুলগুলি এক চমৎকার সুবাস আর শোভা যোগ করে।
সাজের পুরোটা জুড়ে থাকুক আরামের ছোঁয়া। পুরোনো কুশন কভার বদলে দিন জমকালো কাজের রঙিন কভারে, মেঝেতে পাতুন উষ্ণ কার্পেট বা শতরঞ্জি।
এগুলি বসার ঘরে এক ঝলক আভিজাত্য এনে দেবে।
দরজায় ঝুলিয়ে দিন নানা রঙের কাপড়ের তোরণ বা ওয়াল হ্যাঙ্গিং।
ঘরের কোণে রাখতে পারেন বাহারি সুগন্ধী মোমবাতি, যা মিষ্টি গন্ধে ভরিয়ে রাখবে আপনার ঘর।
এর পাশাপাশি একটি সুন্দর পাত্রে সাজিয়ে রাখুন নাড়ু-মিষ্টি আর চকোলেট। অতিথির জন্য আপ্যায়ন আর উৎসবের আমেজ একইসঙ্গে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।