প্রতীকী চিত্র।
কথায় বলে 'আলোর শহর' চন্দননগর! এই শহরের আলোক শিল্প এবং আলোক শিল্পীদের কদর সারা বিশ্বে। এমনই এক শিল্পী তথা ব্যবসায়ী ছিলেন বাবু পাল। এক সময়ের ফরাসী উপনিবেশ চন্দননগরেই রয়েছে তাঁর বড়সড় স্টুডিয়ো। জগদ্ধাত্রী পুজোর মুখে সেখানে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কিন্তু, কাজ কাজের মতো চললেও সেই বাবু আজ আর নেই। কিন্তু, 'বাবু পালের আলো'র চাহিদা আজও সমান।
বর্তমানে বাবু পালের আলোর ব্যবসা চালান তাঁর স্ত্রী চিত্রলেখাা পাল ও মেয়ে সুশ্বেতা পাল। তাঁদের কাছ থেকে জানা যায়, এই স্টুডিয়ো থেকেই আলোর সাজ পাড়িয়ে দিয়েছিল সুদূর মুম্বই শহরে। গন্তব্য ছিল 'বিগ বি' অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি! শাহেন শাহের বাড়ির কালীপুজোয় আলো পাঠিয়েছিলেন বাবু পাল। এ ছাড়া, অম্বানি পরিবারের বড় ছেলের বিয়েতেও আলোক সজ্জার বরাত পেয়েছিলেন এই বাঙালি শিল্পী তথা ব্যবসায়ী।
এর পাশাপাশি, প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী তথা অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিয়েতে যে আলোর খেলা সকলের মন ভরিয়ে দিয়েছিল, সেই কারিগরির নেপথ্যেও হাতযশ ছিল বাবু পাল ও তাঁর স্টুডিয়োর সুযোগ্য কর্মী এবং সহ-শিল্পীদের।
জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ স্ট্রোক হয় বাবুর। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই কোভিডে আক্রান্ত হন তিনি। তার পর থেকে শরীর একে বারে ভেঙে গিয়েছিল। অধিকাংশ সময় কাটত বিছানায় শুয়ে। অবশেষে গত বছরের অগাস্ট মাসে তাঁর মৃত্যু হয়।
কিন্তু, এর পরও 'বাবু পালের আলো' ম্লান হয়নি। এর সৌজন্যে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিনী ও কন্যা, এবং অবশ্যই বাবু পালের স্টুডিয়োর প্রত্যেকটি শিল্পী, কারিগর - যাঁরা আজও নিজেদের কাজ করে চলেছেন অক্লান্ত ভাবে!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।