English Mahalaya

বাংলায় নয়, ইংরেজিতে মহালয়া! সুপ্রিয়র কণ্ঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র আন্তর্জাতিক রূপ!

যদি বলা যায়, দেবীপক্ষে মহালয়া বাংলায় নয়, বরং ইংরেজিতে সম্প্রচারিত হবে, তা হলে কেমন হয়?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:০৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

'আশ্বিনের শারদ প্রাতে' সেই চেনা কণ্ঠে ঘুম না ভাঙলে বাঙালিদের কাছে পুজোর আমেজটা যেন ঠিক সম্পূর্ণ হয় না। এই কণ্ঠ চিরন্তন। মহালয়ার কাকভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রতি বারই শিহরণ জাগিয়ে যায় বাঙালি হৃদয়ে। কিন্তু যদি বলা যায়, দেবীপক্ষে মহালয়া বাংলায় নয়, বরং ইংরেজিতে সম্প্রচারিত হবে, তা হলে কেমন হয়?

Advertisement

অবাক লাগলেও এই ‘অসম্ভব’ সম্ভব হয়েছে বহু দিন আগেই। আর এর নেপথ্যে যিনি রয়েছেন, তাঁকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ কণ্ঠী বললেও মন্দ হবে না। তিনি হলেন সুপ্রিয় সেনগুপ্ত। বাঙালির আবেগ ও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে আসা পুরনো স্বাদকে গড়েপিটে তাকে নতুন রূপ দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন এই ‘কারিগরি কবিয়াল’ই।

তাঁর সৃজনশীল দলকে নিয়ে বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক রূপে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ উপস্থাপন করতে প্রস্তুত তিনি। এই পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর, সন্ধে ৬ টায়, গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের বিবেকানন্দ হলে।

Advertisement

সুপ্রিয়র কথায়, বাঙালির মননের আবেগকে নতুন মোড়কে পেশ করলেও তার অর্থ, রূপ, রস, সব অক্ষুণ্ণই আছে। বদলেছে কেবল ভাষা। তিনি বলেন, “এ কেবল আমার জন্য সম্মানের নয়, বাংলার এই অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরার প্রচেষ্টার স্বীকৃতিও বটে।” এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হল তাঁর মা। সুপ্রিয়র সংযোজন, “এই উদ্যোগ আমার মায়ের ইচ্ছে পূরণের জন্য। একই সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement