সংগৃহিত চিত্র
গণেশ পুজো মানেই দেশ জুড়ে এক উৎসবের মেজাজ। নতুন করে শুরু করার অনুপ্রেরণা আর সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা। বিশ্বাস আর ভক্তির এক অন্যরকম মিশেল। তবু তার মধ্যেও অজান্তেই কিছু ভুল হয়ে যায় অনেক সময়ে, যা ডেকে আনতে পারে অমঙ্গল। ফলে এই ভুলগুলো কিন্তু ভুলেও করা চলবে না।
যেমন, গণেশ পুজোতে সাধারণত চাঁদ দেখা বারণ। প্রচলিত আছে, গণেশকে দেখে চাঁদের হাসি পেয়েছিল বলে গণেশ তাকে অভিশাপ দেন, যে কেউ চাঁদ দেখলেই তার জীবনে নেমে আসবে মিথ্যা অপবাদ। তাই পুজো চলাকালীন চাঁদ থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। যদি ভুলবশত চাঁদ দেখে ফেলেন, তা হলে মিথ্যা অপবাদ থেকে বাঁচতে শ্রীমদ্ভাগবতের ‘স্যমন্তক মণি’-র গল্পটি শোনা বা পড়া যেতে পারে।
এ ছাড়া, ভুল করেও গণেশ পুজোয় তুলসী ব্যবহার করা যাবে না। এক পৌরাণিক গল্প অনুসারে, তুলসী গণেশকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। গণেশ রাজি না হওয়ায় তুলসী অভিশাপ দিয়েছিলেন যে গণেশের দু’টি বিয়ে হবে। তার পর থেকে আর গণেশ পুজোয় তুলসী পাতা দেওয়া হয় না।
পুজোয় ব্যবহৃত মূর্তি যেন ভাঙা বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আকার যতই ছোট হোক, মূর্তির অবস্থা ভাল থাকা জরুরি। ভক্তরা বলেন, এতে পুজোয় সাফল্য আসে। সন্ধ্যার পরে নৈবেদ্য দেওয়াও অনেকে এড়িয়ে চলেন। বিশ্বাস, দিনের আলোতেই দেবতাকে ভোগ অর্পণ শুভ।
গণেশের আর এক প্রিয় জিনিস হল মোদক। তাই তাঁর পুজোয় মোদক দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে মোদক নিরামিষ হওয়া উচিত। একই সঙ্গে পুজোর দিনে কোনও জীবকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। হিংসা থেকে দূরে থাকাই ভাল।
গণেশ পুজোয় কখনও কালো পোশাক পরা উচিত নয়। কারণ কালো রং শোকের প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে পুজোয় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।