দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের খুব কাছেই রয়েছে আরও এক কালী মন্দির। যা সকলের কাছে পরিচিত মুক্তকেশী কালী মন্দির নামে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের দূরত্বে আড়িয়াদহ ফেরিঘাটের পাশেই তার ঠিকানা।
মন্দিরের ফলক বলছে, বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে - এই 'মুক্তকেশী কালী বাড়ি' স্থাপিত হয়েছিল ১২৪৭ সনে। অর্থাৎ, বর্তমানে এই মন্দিরের বয়স ১৮৫ বছর।
সেই সময়ে এই এলাকার জমিদারের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রচেষ্টায় এই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
কথিত আছে, স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এই মন্দিরে আসতেন পুজো করতে।
আরও শোনা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি দেবী মুক্তকেশীকে 'মাসি' বলে সম্বোধন করতেন!
এই মন্দিরের পাশেই রয়েছে আড়িয়াদহ মহাশ্মশান। শ্রী রামকৃষ্ণের মায়ের মৃত্যুর পরে তাঁকে সেখানেই দাহ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। (প্রতীকী ছবি)
ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরের দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। তাই বহু মানুষ এখানে আসেন পুজো দিতে।
মন্দিরে যে কালী মূর্তি রয়েছে, সেটি কোনও পাথরে নির্মিত বলে জানা যায়।
সামনেই কালীপুজো। এমন এক আবহে প্রাচীন এই মন্দিরে ঘুরে আসতেই পারেন। যে মন্দিরে বহু ইতিহাস ও ঐতিহ্য থাকছে অপেক্ষায়। যে মন্দির বহু যুগ ধরেই ঈশ্বরীর প্রতি তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক। (প্রতীকী ছবি) (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।