প্রতীকী চিত্র।
আদিশক্তির অসংখ্য রূপ এবং নাম রয়েছে। তার মধ্যে 'দুর্গা' নামটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এই নামের নেপথ্যে একটি বিশেষ পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে, যা মানব জীবনের জন্য গভীর তাৎপর্য বহন করে।
জানা যায়, দেবী দুর্গার 'দুর্গা' নামটি এসেছে 'দুর্গম' থেকে। যা অজেয় বা অতিক্রম করা কঠিন, এমনই তার অর্থ। এই নামের কারণ হল, একটা সময়ে 'দুর্গম' নামে এক অসুর রাজা ব্রহ্মার কাছ থেকে বর পেয়েছিলেন যে, কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। এই বর লাভ করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অত্যাচারী। পরবর্তীতে দেবতাদের অনুরোধে এই অসুরকে বধ করতেই দেবী দুর্গা আবির্ভূতা হন এবং তাঁকে পরাজিত করেন। সেই কারণেই দেবীর নাম হয় দুর্গা।
এই কাহিনি মানব জীবনেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি বোঝায় যে দেবী দুর্গা সকল প্রকার বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেন এবং তাঁর মধ্যে এই কঠিন সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির অলৌকিক শক্তি রয়েছে। তা ছাড়া, আদিশক্তির এ হেন নামকরণ এবং এই পৌরাণিক কাহিনির ব্যাখ্যা থেকেও কিছু শিক্ষা মেলে। যেমন -
অহংকারের বিনাশ:
এই কাহিনি শেখায়, যারা অহঙ্কার করে এবং অন্যায়ের পথে চলে, তাদের বিনাশ অনিবার্য। দেবী দুর্গা তাদের বিনাশ করে পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। তাই যে কোনও মানুষেরই ন্যায়ের পথে অবিচল থাকা উচিত এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা উচিত।
মুক্তির প্রতীক:
সংক্ষেপে বলতে গেলে দুর্গা কেবল একটি নাম নয়। বরং তা হল সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার এক প্রতীক। দেবী দুর্গা সকলকে অন্যায় ও দুর্গতি থেকে রক্ষা করেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।