গণেশের পুজোর সবচেয়ে শুভ দিন বলে বিবেচিত হয় গণেশ চতুর্থী। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে সঠিক নিয়ম মেনে ভক্তি সহকারে পুজো করলে জীবনে বাধা দূর হয়, আসে উন্নতি ও সমৃদ্ধি। কিন্তু কী সেই নিয়ম, জানা আছে তো?
গণেশ চতুর্থীর দিন যা যা করবেন- ১. গণেশ চতুর্থীর দিন বাড়িতে অবশ্যই গণেশ পুজো করবেন। যদি সম্ভব হয়, গণেশ মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। এতে ঘরে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। শুভ শক্তির সঞ্চয় হয়।
২.গণেশ মূর্তি স্থাপন – ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণে বা পুজোর ঘরে গণেশকে বসান।
৩.মন্ত্র জপ ও পূজা – ‘ওঁ গং গণপতয়ে নমঃ’ মন্ত্র জপ করুন। গণেশের অষ্টোত্তর শতনাম (১০৮ নাম) পাঠ করলে ভাল ফল মেলে।
৪.প্রিয় নৈবেদ্য নিবেদন – গণেশের প্রিয় মোদক, লাড্ডু, নারকেলের নাড়ু, দূর্বা ঘাস, লাল ফুল অবশ্যই নিবেদন করুন। বিশেষত ২১টি দূর্বা ঘাস অর্পণ করলে গণেশ খুব খুশি হন।
৫.প্রথমে গণেশের পূজা – এই দিনে অন্য দেবতার পুজোর আগেই গণেশের আরাধনা করুন। গণেশকে সুন্দর করে ফুল ও দূর্বা দিয়ে সাজিয়ে পুজো করুন। এতে সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ লাভ করবেন।
৬.ব্রত পালন – কেউ কেউ দিনভর উপবাস বা ফলাহার করে সন্ধ্যায় পুজো করেন এই দিন।
৭. আরতি ও প্রার্থনা – সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশ আরতি করুন এবং পরিবারের কল্যাণ কামনা করুন।
৮.ঠাকুরের আসন: ঠাকুরের আসন বা সিংহাসন পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে। গণেশ মূর্তি স্থাপনের পরে সেই মূর্তির দুই দিকে একটি করে সুপুরি কমলা সিঁদুর মাখিয়ে রাখতে হবে।
৯.দরিদ্র ও পশুপাখিকে দান – এই দিনে দান করলে পুণ্যলাভ হয়। যেমন– খাবার, বস্ত্র দান কিংবা পশুপাখিকে খেতে দেওয়া। (এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ)