প্রতীকী চিত্র
গোটা বছর হল ২৪টি পক্ষের সমাহার। যার মধ্যে বারোটি কৃষ্ণপক্ষ এবং বাকি বারোটি শুক্লপক্ষ। মহালয়ার পরদিন, অর্থাৎ শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে কোজাগরী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলা পনেরো দিনব্যাপী সময়কাল হল দেবীপক্ষ। বছরভর যার জন্য অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। কারণ, এই পক্ষে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, দুর্গোৎসব এই পক্ষেই আয়োজিত হয়।
মহালয়া হল পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। মনে করা হয়, মহালয়া থেকে দেবীপক্ষ শুরু হয়। তা কিন্তু নয়। মহালয়া অবধিই পিতৃপক্ষের মেয়াদ। পিতৃপক্ষের অন্তে অমাবস্যা তিথিটির নাম মহালয়া। যতক্ষণ অমাবস্যা থাকে ততক্ষণ পিতৃপক্ষ, অমাবস্যা তিথি পেরিয়ে প্রতিপদ পড়লেই আরম্ভ হয় দেবীপক্ষ।
দেবীপক্ষ হল দেবী আরাধনার সময়। দেবীপক্ষের প্রথম দিন থেকে দেবীর নয়টি রূপের এক একটির আরাধনা শুরু হয়। প্রতিপদ হল শারদ নবরাত্রির প্রথম দিন। প্রতিপদে প্রতিপদাদি কল্পারম্ভ অর্থাৎ দেবীর বোধন হয়। দেবীপক্ষ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু বাড়িতে চণ্ডীপাঠ শুরু করার রেওয়াজ রয়েছে। এই পক্ষেই দেবী মহিষাসুরকে হারিয়ে ত্রিলোককে রক্ষা করেছিলেন। সব মিলিয়ে দেবীপক্ষের পনেরো দিন হল মাতৃ আরাধনার সময়। মাতৃশক্তির পুজোয় মেতে ওঠে জগৎ। ষষ্ঠী থেকে নবমী অবধি দেবী দুর্গার পুজো হয়, তার পরে কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় দেবীপক্ষ। দেবী তথা মাতৃশক্তির আরাধনার কারণে এই পক্ষের নাম হয়েছে দেবীপক্ষ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।