আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা অর্থাৎ কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় বাংলায়। কখনও সরাপট, কখনও কলাবউ, কখনও আবার মূর্তি- বিভিন্ন রূপে পুজো পান দেবী। কিন্তু জানেন কি লক্ষ্মীপুজোতেও নাকি প্রচলন ছিল নরবলির?
চমকে উঠলেন? ভাবছেন যে দেবীর আরাধনায় জোরে শব্দ পর্যন্ত করা হয় না, শঙ্খধ্বনি, উলু ছাড়া আর শব্দ করা হয় না, সেখানে নরবলি! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটত প্রাচীনকালে।
দেবী লক্ষ্মী বিভিন্ন রূপে বিশ্বের বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় পূজিত হয়ে এসেছেন। আর তেমন ভাবেই প্রাচীন পেরুতে অদ্ভুত উপায়ে উপাসনা করা হতো দেবী লক্ষ্মীর।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে ভুট্টার ছড়া দিয়ে প্রতীকী দেবী মূর্তি গড়তেন মহিলারা। তাতেই পুজো করতেন। পুজোর দিন এই মূর্তিকে ঘিরে মহিলারা চুল খুলে নাচ করতেন।
আর যখন পুজোর দিন এই নৃত্যানুষ্ঠান চলত তখন এক কুমারীর মুখ হলুদ, তিলক, সিঁদুর দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হতো।
শুধু তাই নয়, তাঁকে পরানো হতো ভাল কাপড়। গায়ে থাকত নানা অলঙ্কারও। সুসজ্জিত করে এই কুমারীকে নিয়ে যাওয়া হতো পূজারীর সামনে।
পূজারী কুমারীকে পুজো দিলে, সবাই মিলে শুরু করতেন নরবলির উদাত্ত নাচ।
সেই নাচের পর কুমারীকে বলি দেওয়া হতো দেবীর সামনে। বলির পর তাঁর হৃদপিণ্ড উৎসর্গ করা হতো দেবীকে।
বলির পর সেই কুমারীর হৃদপিণ্ড উৎসর্গ করে পুরোহিত দেবীর কাছে জানতে চাইতেন যে তিনি তুষ্ট হলেন কিনা।
যদি দেবী জানাতেন যে তিনি তুষ্ট হলেন তবে দেবীর এই প্রতীক সকলে ঘরে তুলে রাখত।
আর যদি জানাতেন তিনি তুষ্ট হননি তাহলে সেই প্রতীক পুড়িয়ে নতুন করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করা হতো। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।