সংগৃহিত চিত্র
পুজোর আর বেশি দেরি নেই। চার দিকে ইতিমধ্যেই উৎসবের আমেজ। এই সময়টায় ঘরবাড়ি নতুন করে সাজানো, পরিষ্কার করার একটা তোড়জোড় চলে। নতুন রং, নতুন পর্দা, নতুন সব জিনিসপত্র আসে। আর এই সবের ফাঁকে একটা জিনিস কি লক্ষ্য করা যায়? ঘরের কোণে কোণে জমে থাকা মাকড়সার জাল। ঝটপট তাকে ঝেঁটিয়ে ফেলার আগে বরং একটু দাঁড়িয়ে যান।
পুজোর সময়ে মাকড়সাকে তাড়ানো উচিত হবে না। কেন জানেন? তা হলে বরং খোলসা করেই বলা যাক। হিন্দু শাস্ত্রে মাকড়সা ও তার জালকে সমৃদ্ধি আর শান্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। অনেকের মতে, পুজোর দিন ঘরে মাকড়সা দেখা মানেই মা লক্ষ্মীর কৃপা। এমনকি বাস্তুবিদ্যার বইতেও লেখা আছে, মাকড়সা বাড়ির শক্তি ধরে রাখে, অশুভ শক্তি দূরে সরায়। গ্রামীণ বাংলার বহু জায়গায় এখনও বিশ্বাস করা হয়, পুজোর সময় মাকড়সা তাড়ালে ঘরে অর্থকষ্ট বাড়তে পারে।
ঘরের কোণে, ছাদে, বা জানলার চৌকাঠের উপরে তাদের বানানো জালগুলো দেখে বিরক্তি জাগলেও এই জাল কিন্তু আসলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাকড়সার জাল হচ্ছে এক রকমের প্রাকৃতিক ফাঁদ। মশা, মাছি, আর অন্যান্য যে সব ছোট পোকামাকড় চার পাশে ঘোরাফেরা করে, এই জালের ফাঁদে পড়লে তাদের উপদ্রব কমে যায়।
তাই পুজোর সময়ে মাকড়সার জাল দেখলে এ বার তাকে হয়তো একটু নতুন চোখে দেখা যেতেই পারে। এই জালগুলো অস্বস্তির কারণ নয়, বরং আসলে প্রকৃতির এক উপহার।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।