Chandannagar Jagaddhatri Puja 2025 security

ষষ্ঠী থেকে ‘নো-এন্ট্রি’, নজরদারি চালাবে ড্রোন! জগদ্ধাত্রী পুজোয় নিরাপত্তার চাদরে চন্দননগর!

আলোর শহরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় কড়া নিরাপত্তা, সোমবার থেকে শহরে ৪৪টি জায়গায় ‘নো-এন্ট্রি’।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

চন্দননগর মানেই আলোয় মোড়া শহর, জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই জমজমাট উৎসব। সেই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখেই এ বারও সাজছে হুগলি পাড়ের এই শহর। তবে শুধু উৎসবের প্রস্তুতিই নয়, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায়ও কড়া নজর প্রশাসনের।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে বেলুন উড়িয়ে পুজো ও গাইড ম্যাপের উদ্বোধন হল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ মেয়র রাম চক্রবর্তী ও ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল। পুলিশ কমিশনার জানান, উৎসবের আড়ম্বর বজায় থাকলেও এই মুহূর্তে তাঁদের প্রধান কাজ হল ভিড় সামলানো ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চন্দননগর শহরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসি ক্যামেরার জালে। শুধু মাত্র এই উৎসবের জন্য শহরে বসানো হয়েছে বাড়তি ৩০০টি সিসি ক্যামেরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তৈরি করা হয়েছে ৩টি কন্ট্রোল রুম, যেখান থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলবে।

Advertisement

ষষ্ঠী অর্থাৎ সোমবার থেকেই শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সে দিন দুপুর দুটো থেকে পর দিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ির শহরে প্রবেশ বন্ধ থাকবে। শহরে ঢোকার মোট ৪৪টি জায়গায় জারি হচ্ছে ‘নো এন্ট্রি’। ভিড় সামলাতে ও মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পথে নামছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরা, উইনার্স টিম এবং পিঙ্ক মোবাইল টিমের সদস্যা।

এই বিপুল জনসমুদ্রকে সামাল দিতে এ বার শহরে মোতায়েন থাকবেন প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী। সুরক্ষার দায়িত্বে থাকছে ৬ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক, অতিরিক্ত ২০ জন পুলিশ সুপার এবং ৩৫ জন ইনস্পেক্টার। নজরদারির জন্য ৫০ টি বাইকে থাকবে সুইপিং পার্টি এবং ড্রোন দিয়েও উপর থেকে চলবে পর্যবেক্ষণ। নারী নিরাপত্তায়ও রয়েছে আলাদা নজর— রাস্তায় থাকবেন মহিলা পুলিশ, উইনার্স টিম, পিঙ্ক মোবাইল টিম। সব মিলিয়ে, আলোর শহর চন্দননগর যেমন প্রস্তুত তার জৌলুস নিয়ে, ঠিক তেমনই প্রস্তুত এখানকার প্রশাসন—অগণিত দর্শককে সুরক্ষিত উৎসব উপহার দিতে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement