বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ। কিন্তু সেই সমস্ত পার্বণের মধ্যে সেরার সেরা হল দুর্গাপুজো। বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো এমন একটা পুজো, যেটাকে জীবন থেকে বাদ দেওয়াটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। সারা শহর-রাজ্য জুড়ে প্রতি বছর ঘটা করে পালিত হলেও এই পুজো প্রতি বছরই নতুন কিছু না কিছু নিয়ে আসে। আর এই সময়ে বাঙালি তার সর্বস্ব দিয়ে মেতে ওঠে আনন্দে।
বাঙালির কাছে এই উত্সব শুধুমাত্র পুজো নয়, সাধনাও বটে। দুর্গাপুজোর সময় বাংলায় পা রাখলে আপনি দেখতে পাবেন পুজোর বিবিধ প্রথা। আর প্রতিটি ঘরের মা-ঠাকুমার মুখে মুখে ঘোরাফেরা করা বিবিধ আখ্যান। বাড়ির ছোটরা সেই সমস্ত রূপকথার গল্প শুনতে শুনতেই বড় হয়ে ওঠে।
গল্পের শেষ পর্যায়ে এসে ঠাকুমার গলাটা ভারী হয়ে এল। শেষ পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে ঠাকুমা বলে উঠলেন –
দুর্গাপুজোর আগে এই গল্প প্রতিটা ঘরে ঘরে শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর কোনও প্রতিক্রিয়া সে ভাবে দেখা যায় না। কিন্তু ঠাকুমার এই গল্পের পরেই বাচ্চারা এ বার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিল যে মাকে এ বার শান্ত করতেই হবে। যতই হোক, তারা কোনও সাধারণ বাচ্চা নয়, তারা হল হরলিক্স কিড্স। সমস্যার সমাধান হিসেবে বাচ্চারা কুমোরটুলির জন্য ভেবে করে ফেলল একদম ইকো-ফ্রেন্ডলি মণ্ডপ। যা তৈরি হয়েছে সমস্ত পুনর্ব্যবহারযোগ্য বস্তু দিয়ে। চলুন দেখেনি সেই গল্প-
শেষ ১০ বছরে দুর্গাপুজোর অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। থিম থেকে ভাবনা, কলা-কৌশল সব কিছু। বর্তমানে থিম পুজোকে গভীর ভাবে ভালবেসে ফেলেছে বাঙালিরা। আর যখন বাচ্চাদের ভাবনায়, প্রকৃতিকে বাঁচাতে এই রকম একটা অসাধারণ থিমের উপরে মণ্ডপ তৈরি হয়, তখন সেই মণ্ডপে আপনাকে আসতেই হবে। তা হলে এই দুর্গাপুজোয় কুমারটুলি সর্বজনীনের মণ্ডপে আসুন এবং উপভোগ করুন বাচ্চাদের তৈরি প্রাকৃতিক পুজো।
সকলের দুর্গাপুজো ভাল কাটুক।
ডিসক্লেইমার
এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত সম্পূর্ণ ভাবে লেখকের নিজস্ব মতামত এবং শিক্ষামূলক স্বার্থে প্রকাশিত। শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে উপদেশের জন্য চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।