কলকাতার বারোয়ারি দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল - ২৩ নম্বর, সুরেন টেগোর রোডের ফাল্গুনী সংঘের আয়োজন।
এ বারের পুজোয় দর্শনার্থীদের জন্য তাদের বিশেষ 'উপহার' হল একটি আস্ত শিল্প প্রদর্শনী!
ইউরোপীয় ঘরানার মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালাগুলি যেমন দেখতে হয়, যেখানে মূলত নানা ধরনের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়, সেই আদলেই করা হয়েছে সমস্ত বন্দোবস্ত।
বস্তুত, এ বারের পুজোমণ্ডপটিই নির্মাণ করা হয়েছে ইউরোপীয় আর্ট গ্যালারির অনুকরণে।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মণ্ডপে যাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন।
মূলত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে প্রাক্তন এই আইএএস আধিকারিক তাঁর এই শিল্পসম্ভার সৃষ্টি করেছেন।
ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ও আইটিসি সোনার-সহ বিভিন্ন স্থানে এই প্রদর্শনী রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। এ বার ঠাকুর দেখতে আসা মানুষও সেই শিল্পকর্ম প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
বর্তমান থিম পুজোর যুগে এ হেন আয়োজন নিঃসন্দেহে এক অনন্য প্রয়াস বলেই মনে করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
এ কথা বলার কারণ হল - এই আয়োজনে বাঙালি ও ইউরোপীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধন যেমন ঘটছে, তেমনই ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশছে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি।
উদ্যোক্তাদের আশা, তাঁদের এই ব্যবস্থাপনা দর্শকদের মুগ্ধ করবে! (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।